১। পুজোর ভোরে খোলা জানালা দিয়ে ভেসে আসা ঢাকের বাদ্যি, বাড়ির রান্নাঘর থেকে গরম গরম কচুরির প্রাণকাড়া গন্ধ— সেই সঙ্গে পাতে যদি থাকে নিরামিষ আলুর দম, তা যেন উৎসবের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বাঙালির পুজোর মেনুতে এ পদের আলাদা কদর! কী ভাবে বানাবেন জানেন?
২। প্রথমে ছোট নতুন আলু বেছে নিতে হবে। এই আলুর ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল একে পুরোপুরি সেদ্ধ করা।
৩। একটি পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও খুব বেশি করে নুন দিয়ে আলুগুলি প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। এতে প্রতিটা আলু সমান ভাবে নুন টেনে নেবে।
৪। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে ফেলুন। গরম অবস্থাতেই তার খোসা ছাড়িয়ে আরও সামান্য নুন মাখিয়ে রাখুন। এ বার মশলার পেস্ট তৈরি করে রাখুন। জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, আমচুর, বিটনুন আর আদা বাটার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
৫। একটি প্যানে সর্ষের তেল গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, জিরে এবং হিংয়ের ফোড়ন দিন।
৬। ফোড়ন থেকে সুন্দর গন্ধ বার হলে কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো এবং হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন। তেল ও মশলার এই মিশ্রণই আলুর দমকে আকর্ষণীয় লাল রঙ দেবে।
৭। এর পরে মশলার পেস্ট মিশিয়ে দিন। যত ক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায় আর তেল ছেড়ে দেয়, তত ক্ষণ মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন।
৮। ফেটানো টক দই আর সামান্য টোম্যাটো সস যোগ করে খুব দ্রুত নাড়তে থাকুন, যাতে দই ফেটে না যায়।
৯। এর পরে আলুর টুকরোগুলো দিয়ে ভাল ভাবে মশলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই রেসিপিতে আলুকে আগে থেকে ভাজা হয় না, কিন্তু এই পদ্ধতিতে তা আরও রসালো হয়ে ওঠে।
১০। পরিমাণমতো গরম জল, নুন আর চিনি দিয়ে সব কিছু একসঙ্গে মিশিয়ে দিন। এর পরে কসুরি মেথি গুঁড়ো করে উপরে ছড়িয়ে দিন।
১১। পাত্রটি ঢেকে প্রায় ২০ মিনিট রান্না করুন, যতক্ষণ না ঝোল ঘন হয়ে আসে। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন, যাতে নীচে লেগে না যায়।
১২। সবশেষে কাজু বাটা, কাঁচা মটর, ঘি আর গরম মশলা ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। পরিবেশনের আগে অন্তত ২ মিনিট ঢেকে রাখুন। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )