দ্বিতীয়ায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ গোটা ‘তিলোত্তমা’ই যেন জলমগ্ন। এমন অবস্থা যদি পুজোর সময়ও হয়? এই ভয় এখন কম বেশি সবার মনেই উঁকি দিচ্ছে। পুজোর সময়ও যে নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সেই সম্ভাবনা সত্যিই বাস্তবায়িত হয় তা হলে কী করবেন ভাবছেন?
পুজোর সময়ও যদি এমন মুষলধারে বৃষ্টি হয় তবে তো ঘরবন্দি হয়ে থাকা ছাড়া তো উপায় নেই। তবে ঘরে থাকলেই যে আনন্দ মাটি হবে সেটা নয়। বরং নিজের মতো করে একা বা গোটা পরিবারকে নিয়েই সময় কাটাতে পারেন।
পুজোয় নেহাত বাধ্য হয়ে যদি ঘরে থাকতে হয় তা হলে কী করবেন বা করতে পারেন সময় কাটানোর জন্য চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সবার প্রথমেই বলা যাক বই পড়ার কথা। বই পড়ে সময় কাটানোর মতো ভাল জিনিস হয় না। একা সময় কাটাতে চাইলে বই নিঃসন্দেহে ভাল সঙ্গী হতেই পারে, হ্যাঁ পুজোর সময়ও।
একা সময় কাটানোর আরও এক মস্ত সঙ্গী হতে পারে গান। যেমন ধরনের গান শুনতে ভালবাসেন সেই গান চালিয়ে চুপচাপ বসে থাকা বা শুয়ে থাকা, বা ঘরের অন্যান্য কাজ করলেও মন ভাল থাকে।
পুজোর আগে সকলেরই মন রূপচর্চার দিকে থাকে। তা হলে পুজোর সময় নয় কেন? পুজোর এক দিন যদি বৃষ্টিতে না বেরোনো যায় তাহলে বাড়িতেই রূপচর্চা করে, করিয়ে সুন্দর সময় কাটাতে পারেন।
রান্না করতে ভালবাসেন? বৃষ্টিতে যখন বাইরে বেরোনোর জো নেই, তখন হাতা-খুন্তি নিয়ে আসরে নেমে পড়ুন। ফ্রিজে যা আছে, তাই দিয়ে মন পছন্দের রান্না বানান, পরিবারকে খাওয়ান। দরকার পড়লে বনভোজনের মতো করে পরিবারের সকলে মিলে রান্না করুন। বেশ একটা হইহই ব্যাপার হবে কিন্তু!
আঁকতে পারেন। আঁকলে অনেকটা সময় কেটে যায় তাতে। সেই আঁকা দিয়ে আবার ঘরও সাজাতে পারেন।
সপরিবারে মিলে কোনও ওটিটি মাধ্যম থেকে পছন্দের সিনেমা বা সিরিজ চালিয়ে পুজোর আনন্দ ঘরে বসেই উপভোগ করতে পারেন।
তা হলে আর কী! পুজোয় যদি বৃষ্টির চোখ রাঙানি কোনও ভাবেই উপেক্ষা না করা যায় তবে এ ভাবেই সময় কাটান বাড়িতে, হয় নিজের সঙ্গে, নইলে গোটা পরিবার মিলে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।