সারা মাস পরিশ্রম করেও মাসের শেষে পকেটে টান! অনেক সময়ে না চাইতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ বেরিয়ে যায় হাত থেকে। জানেন কি, মানুষের এই ক্ষতির কারণ কিন্তু মানুষ নিজেই? অজান্তে হলেও এমন কিছু কাজ করে ফেলেন অনেকেই, যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দৈনন্দিন জীবন। সংসারেও ছায়া ফেলে অশুভ শক্তি। সামনেই তো দুর্গাপুজো। তার আগে লক্ষ্মীলাভ হোক, কে না চান! তাই এখন থেকেই এই কাজগুলি করা থেকে বিরত থাকুন। বরং রোজকার ব্যস্ততার ফাঁকে মেনে চলুন সাধারণ কিছু টোটকা।
১। সাধারণত সকালের শুরুটাই হয় স্নানে। সেই সময়ে জলের সঙ্গে নানা ইতিবাচক শক্তিও প্রবেশ করে শরীরে। তাই স্নানের সময়ে কোনও রকম কুচিন্তা মাথায় আনা উচিত নয়। ভাল কিছু ভাবুন।
২। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, যেখানেই থাকুন না কেন, স্নানের সময়ে প্রথম জল যেন মাথাতেই দেওয়া হয়। কারণ, জলে নারায়ণের বাস। তাই সর্বপ্রথম তা মাথাতেই ঢালতে হয়। শুরুতেই পায়ে জল একেবারেই নয়।
৩। জানেন কি স্নানশেষে সর্বপ্রথম শরীরের কোন অঙ্গটি মুছতে হয়? উত্তর হল- শিরদাঁড়া। বলা হয়, এমনটা করলে নাকি দারিদ্র্য কাছে ঘেঁষতে পারে না। এ ছাড়াও নিজের স্নানের সামগ্রী পারলে আলাদা রাখুন। একে অপরেরটা ব্যবহার না করাই ভাল।
৪। যতই ব্যস্ততা এবং তাড়া থাক, ঠাকুর পুজোর ক্ষেত্রে কিছু ছোট ছোট নিয়ম এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। যেমন নিত্যদিনের পুজোর ফুল অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। কোনও শুকনো ফুল যেন ঠাকুরের আসনে না থাকে। এগুলি চরম অর্থাভাব ডেকে আনে বাড়িতে।
৫। শুধু ফুল নয়, শুকিয়ে যাওয়া গাছও বাড়ির জন্য অমঙ্গলের। অকারণে গাছ কাটা হলে সেই কাটা গাছ সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির বাইরে ফেলে দিতে হবে।
৬। যতটা সম্ভব নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের বাড়িকেও সে ভাবেই রাখুন। বাড়ির কোথাও নোংরা জল জমতে দেওয়া যাবে না।
৭। বাড়িতে কখনও জলের পাত্র খালি রাখতে নেই। এটি অশুভ ইঙ্গিত দেয়। দারিদ্র ডেকে আনে সংসারে।
৮। খেয়াল রাখুন বাড়িতে নুন এবং চিনি যেন পুরোপুরি শেষ না হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকতে থাকতেই কিনে নিয়ে আসুন।
৯। ঘর ঝাঁট দেওয়ার পরে ঝাঁটা কখনও চোখের সামনে রাখতে নেই। দারিদ্র্যের আর একটি লক্ষণ এটি।
১০। জামাকাপড় ভাঁজ করার সময়ে দেখুন সেগুলি যেন উল্টো অবস্থায় না থাকে। (এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ)।