Pratibeshi Club Kali Puja 2025

‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’! ৬৭ বছরে প্রতিবেশী ক্লাবের কালীপুজোয় পুরনো কলকাতার ছোঁয়া

নন্টে-ফন্টে থেকে বাঁটুল, জীবন্ত কালী-শিব থেকে সুরের আসর—প্রতিবেশী ক্লাবের এ বারের পুজোয় ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’-র ছন্দে নস্ট্যালজিয়ায় ভাসল কলকাতা

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২২
Share:

নিজস্ব চিত্র

শীতের আগমনী আর দীপাবলির আগমন, এই দুইয়ে মিলে উৎসবের শহর কলকাতা। এই শহরে কালীপুজো মানেই এক অন্য আবেগ। আর সেই আবেগের টানেই এই বছর ৬৭তম বর্ষে পদার্পণ করল এক ঐতিহ্যবাহী পুজো। খরচ? ক্লাব সদস্যেদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বাজেট ছিল এই উৎসবের জন্য। থিম ছিল— 'জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি'। নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পুরনো কলকাতার প্রতি টান। শুধু জাঁকজমক নয়, সাবেক কলকাতার সেই মিষ্টি গন্ধটি ধরে রাখার চেষ্টা চলেছে মণ্ডপ জুড়ে।

Advertisement

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

মায়ের আরাধনার পাশাপাশি তাই মণ্ডপ সজ্জায় দেখা মিলল নন্টে-ফন্টে, কিংবা বাঁটুল দ্য গ্রেটের। এক লহমায় যেন শৈশবে ফিরে যাওয়া। আর এই নস্ট্যালজিয়াকে পূর্ণতা দিতেই এক পাশে স্থাপন করা হয়েছিল মহাপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের একটি মূর্তি। তন্ত্র আর ভক্তির এক অপূর্ব মেলবন্ধন।

নিজস্ব চিত্র

আলো ঝলমলে সন্ধ্যায় পুজো মণ্ডপে উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় উদ্যোক্তাদের। এই ভিড়ের প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘জ্যান্ত শিব-কালী’। হ্যাঁ, জীবন্ত শিব-কালী সেজে ঘুরে বেড়িয়েছেন মণ্ডপে, যা দেখে অনেকের চোখই কপালে ওঠে। এই মণ্ডপে দেবী পূজিত হন পঞ্চ-মহা বিদ্যা রূপে। ভক্তি আর বিস্ময়ের এই মিশেলই যেন এই পুজোর বিশেষত্ব।

Advertisement

নিজস্ব চিত্র

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যানগর পুরসভার কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদ সদস্য দেবরাজ চক্রবর্তী। এলাকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি শুভ সূচনা করেন এই বর্ণময় উৎসবের। আর উৎসবের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না থাকলে কি চলে? সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন 'সা রে গা মা পা' খ্যাত এক দল গায়ক-গায়িকা। তাঁদের সুরেলা সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকলেন লোকসগীত শিল্পী ঋষি চক্রবর্তী। আলো ঝলমলে মঞ্চে দেখা মিলল অভিনেতা-গায়ক আদৃত রায়েরও।

নিজস্ব চিত্র

বছর পেরিয়ে গেলেও এই মণ্ডপের মঞ্চ বরাবরই তারকার স্পর্শ পেয়ে এসেছে। গত কয়েক বছরে নচিকেতা, শিলাজিৎ মজুমদার (২০২৩), এবং গায়িকা অনন্যা চক্রবর্তীর উপস্থিতি এখানকার মানুষদের মনে আজও তাজা। শেষ বার, অর্থাৎ ২০২৪ সালে, প্রখ্যাত শ্রুতিনাটক ব্যক্তিত্ব জগন্নাথ বসু ও ঊর্মিমালা বসুর উপস্থিতি মণ্ডপের শোভা বাড়িয়েছিল। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর্থিক সাহায্যে পাশে ছিল 'দ্য মওরিন' (হোটেল), 'চাউম্যান', এবং 'হাট্টিয়া'-র মতো রেস্তোরাঁ-হোটেল, শহরের পুরনো ঐতিহ্য আর আজকের রসবোধ যেন হাত ধরাধরি করে চলল এই পুজোয়।

নিজস্ব চিত্র

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement