প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এ বার ‘অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর’ হিসেবে বিনা পারিশ্রমিকে অধ্যাপনা শুরু করছেন শান্তা দত্ত দে। আর বৃহস্পতিবারে সিন্ডিকেটের বৈঠকে তার এই পদে যোগ দেওয়ার বৈধতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। বিভাগীয় ডিনের কাছ থেকে তথ্য চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনের তরফে শিক্ষকদের তরফ থেকে রেজিস্ট্রারের এর কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল। সিন্ডিকেটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। রেজিস্ট্রার সেই নিয়োগপত্র সই করে তৈরি করে দিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য শান্তাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রের খবর, তখন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি উপাচার্য। তিনি এটা করতে পারবেন না বলে সেখানে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সেই চিঠি পরে আর রেজিস্ট্রার নেননি, উপাচার্যের কাছেই ছিল। নভেম্বর মাসে সেই চিঠি নিয়ে কাজে যোগ দেন শান্তা।
বিশ্ববিদ্যালয় একটা কর্তা জানান, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় এমিনেন্টস প্রফেসর ও‘অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর’ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট বিধি নেই। ইউজিসির নিয়ম রয়েছে। আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি সিন্ডিকেটের বৈঠকের পর। তারা নিয়মকানুন সঠিক ভাবে গঠনের প্রস্তাব দেবে। যাতে পরবর্তীকালে এই সমস্যা না তৈরি হয়। ’’
তাহলে কি শান্তা আর পড়াতে পারবেন না এই বিভাগে? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ডিনের কাছ থেকে জবাব আসার পর তা পরবর্তী সিন্ডিকেট এ প্রস্তাব আকারে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই যা সিদ্ধান্ত হবে তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন উপাচার্য শান্তা দত্ত দে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। আমি সমস্ত আইন মেনে এই পদে কাজ করছি।
উচ্চশিক্ষা সংসদের নমিনি মেম্বার ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‘এক বছর আগে অনুমোদন দেওয়া সিন্ডিকেটের চিঠি নিয়ে কী ভাবে একজন পদে যোগ দিতে পারেন? এই বিষয়টি সিন্ডিকেটে উত্থাপিত হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’