প্রতীকী চিত্র।
অতিক্রান্ত দু’মাসের বেশি সময়। চিন্তায় লক্ষাধিক পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবক। কবে বেরোতে পারে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল? উত্তর নেই বোর্ডের কাছে। প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলেও সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ড (ডব্লিউবিজেইইবি)।
শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল এসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশন ওয়েস্ট বেঙ্গল (আপাই-ডাবলু বি)-এর প্রি কাউন্সেলিং এডুকেশন ফেয়ার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বোর্ড জুন মাসের ৫ তারিখই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল। কিন্তু তার পরেই কোর্টে ওবিসি সংরক্ষণ মামলা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।” সোনালি জানান, বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই নিজেদের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বোর্ড ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তাঁর কথায়, “সরকারের কাছ থেকে যে রকম নির্দেশ পাব সংরক্ষণ নিয়ে, সে ভাবেই আমরা ফলাফল প্রকাশ করব। আপাতত নীতিগত নির্দেশ এবং সরকারের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছি।”
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় বিভিন্ন পরীক্ষা জেইই মেন্স, জেইই অ্যাডভান্সড এবং নিট ইউজি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই বেশির ভাগ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় যেমন এ রাজ্যের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে অথবা ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এর ফলে রাজ্যের নামী উচ্চশিক্ষা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে আসন খালি থাকবে বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানগুলি বেশ কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও মনে করছে শিক্ষক মহল।
প্রতি বছর জয়েন্টের ফল ঘোষণার পরই এই কেরিয়ার ফেয়ারের আয়োজন করা হয় রাজ্যের তরফে। এ বছর ফল প্রকাশের আগেই আয়োজন করা হল এই অনুষ্ঠানের। আপাইয়ের প্রেসিডেন্ট তরণজিৎ সিংহ বলেন, “আমরা চিন্তিত রেজ়াল্ট বের হতে দেরি হওয়ায়। আশা করব দ্রুত এর সমাধান হবে। না হলে প্রতিষ্ঠানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
প্রতিবাড়ি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জয়েন্টের ফল প্রকাশে বিলম্ব নিয়ে তাঁর জবাব “ওবিসি সংরক্ষণের জন্য ফলাফল বের হতে দেরি হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর জীবনের প্রশ্ন এটা। আশা করছি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।”