CBSE Academic Performance Report Card 2026

সিবিএসই স্কুলগুলির জন্য প্রকাশিত অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স রিপোর্ট, পড়ার সঙ্গে গুরুত্ব খেলাধুলাতেও

বোর্ডের নির্দেশ, এই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই স্কুলগুলিকে নিজেদের দুর্বলতা এবং সক্ষমতার জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এ বার থেকে স্কুলভিত্তিক ‘অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। বোর্ড অধীনস্থ স্কুলগুলির জন্য ২০২৫-’২৬ শিক্ষাবর্ষের ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করেছে সিবিএসই। যা থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে স্কুলগুলির সামগ্রিক ফলাফল সম্পর্কে জানা যাবে। রিপোর্ট দেখার জন্য স্কুলের অধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষাকে বোর্ডের ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।

Advertisement

বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য, বিভিন্ন মাপকে স্কুলগুলি তাদের ফলাফল পর্যালোচনা করে তাদের মান্নোয়নের উপর জোর দেবে। যা এক ভাবে জাতীয় শিক্ষা নীতিকেই বাস্তবায়িত করবে। রিপোর্টে যে সমস্ত ক্ষেত্র নিয়ে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের অন্যান্য সিবিএসই স্কুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্কুলের তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরা হবে, তার মধ্যে রয়েছে — পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে এবং সার্বিক ভাবে পড়ুয়াদের ফলাফল, সংশ্লিষ্ট স্কুলের ছেলে এবং মেয়েদের পরীক্ষার ফল এবং খেলাধুলাতে পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ এবং কৃতিত্ব।

স্কুলভিত্তিক এই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়ারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয়ে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। আবার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হার্ডঅয়্যার, ইনফরমেটিক্স প্র্যাকটিস-এর মতো বিষয়ে পড়ুয়াদের ফল ভাল।

Advertisement

লিঙ্গভিত্তিক তথ্যতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েরা ছেলেদের থেকে দশম এবং দ্বাদশের ফলে অনেকটাই এগিয়ে। দশম শ্রেণিতে ছেলেদের গড় নম্বর যেখানে ৭৮.৭৯, সেখানে মেয়েরা পেয়েছে ৮০.৮৫ শতাংশ নম্বর। একই অবস্থা দ্বাদশেও। এ ক্ষেত্রে ছেলেদের নম্বরের শতকরা হার ৭৮.৭৪ এবং মেয়েদের ৭৮.৯৩।

খেলাধুলোর ক্ষেত্রেও অঞ্চলভিত্তিক এবং জাতীয় স্তরে স্কুলের পড়ুয়াদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

বোর্ডের নির্দেশ, এই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই স্কুলগুলিকে নিজেদের দুর্বলতা এবং সক্ষমতার জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে হবে। এর পর তার ভিত্তিতেই নিজেদের বার্ষিক শিক্ষক-শিক্ষণ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। পড়ুয়াদের জন্য পঠনপাঠনের মান উন্নত করা এবং তাদের সার্বিক উন্নতি করাই এই রিপোর্ট তৈরির মূল লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement