JU Admission Deadlock for OBC Case 2025

ওবিসি জটে থমকে যাদবপুরের ভর্তি প্রক্রিয়া, অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে কী মিলবে সমাধান?

সূত্রের খবর, বর্তমান আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত। বুধবার থেকে এখনও চালু হয়নি আবেদন জানানোর পোর্টাল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ২০:৩৮
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সংগৃহীত ছবি।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১৮ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া। তার আগেই ওবিসি সংরক্ষণ জটে ফের থমকে গেল ভর্তি। বৃহস্পতিবার দিনভর বৈঠক ও আইনি পরামর্শের পরও কাটলো না জট। শুক্রবারের এডমিশন কমিটির বৈঠকে কাটবে জট? প্রশ্ন অধ্যাপক মহলে। অপেক্ষায় পড়ুয়ারা।

Advertisement

বুধবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাডমিশন কমিটি’-র বৈঠকের পর এই দুই বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। ভর্তির ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার নির্দেশকেই মান্যতা দে‌ওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ওবিসি শংসাপত্র বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তর্বর্তী নির্দেশ ঘোষণা করা হয়। সরকারের ওবিসি সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। যা বহাল থাকবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

আদালতের এই ঘোষণার পরেও বৃহস্পতিবার অভিন্ন অ্যাডমিশন পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬০টি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ, ভর্তির ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওবিসি মামলাকারীরা। এর ফলে কী ভাবে যাদবপুরে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সূত্রের খবর, বর্তমান আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থগিত ভর্তি প্রক্রিয়া। বুধবার থেকে এখনও চালু হয়নি আবেদন জানানোর পোর্টাল। দফায় দফায় চলছে বিশ্ববিদ্যালয় আইনজীবী ও কর্তৃপক্ষদের মধ্যে বৈঠক। শুক্রবার সকালেও আরও একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, শুক্রবার থেকেই ফের শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া।

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (জুটা)-সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “রাজ্য সরকার গত এক বছর ধরে সমস্যাটাকে জিইয়ে রেখে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যার ফলে সরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement