Kasba Law College victim

কসবার কলেজে আর পড়তে চান না নির্যাতিতা! অন্যত্র ভর্তির আবেদন করেছে পরিবার

যে কলেজে ঘটনা ঘটেছে, সেই কলেজে পড়ালে নির্যাতিতার মানসিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। এমনটাই দাবি পরিবারের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৭
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আর পড়াশোনা করতে চান না নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই তাঁর কলেজ পরিবর্তনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রথম বর্ষের পরীক্ষা তিনি ওই কলেজ থেকেই দিয়েছিলেন। নির্যাতিতা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে আর কসবার কলেজে পড়তে চান না তিনি।

Advertisement

নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা মেয়ের কলেজ পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করছেন। ওই কলেজে ফের যাতায়াত শুরু করলে তাঁর সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “মেয়ের সহপাঠীরা কেমন আচরণ করবেন, তা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। মেয়েও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। ফলে আমরা চাইছি অন্য কোনও সরকারি কলেজ থেকে ও পড়াশোনা শেষ করুক।” এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আবেদন করা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। সূত্রের খবর, কসবা কলেজের বর্তমান উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় সে আবেদনে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছেন।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সাধারণত আইনে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বর্ষে অন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার বিধি নেই। কিন্তু এটি একটি বিশেষ ঘটনা। ফলে সমস্ত বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে বিচার করা হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, “আমাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে আবেদন। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করব।”

Advertisement

উল্লেখ্য, প্রথম বর্ষের পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীর আসন পড়েছিল আলাদা। কোনও ভাবে তাঁকে সহপাঠীদের সঙ্গে যাতে পরীক্ষা দিতে না হয়, তার ব্যবস্থা করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ২৫ জুন প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কলেজে গিয়ে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেছিলেন। অভিযোগ, সে রাতেই ক্যাম্পাসের ভিতরেই ওই কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীর দ্বারা ধর্ষিতা হন ওই ছাত্রী। প্রাথমিক ভাবে প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসতে চাননি নির্যাতিতা। পরে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের তরফে তাঁর ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়। তার পরেই নাকি তিনি পরীক্ষা দিতে রাজি হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement