শিক্ষাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় বসার আবেদন করা যাচ্ছে না!এসএসসি-র সিদ্ধান্তে আতান্তরে প্রার্থীরা

পুজোর পরেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এমনই। গত ৩ এপ্রিল দুর্নীতির কারণে চাকরি বাতিল হয় প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক শিক্ষাকর্মীর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫৩
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

কথা ছিল, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন করা যাবে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় বসার। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পোর্টালই খোলেনি এসএসসি। বিড়ম্বনায় প্রার্থীরা।

Advertisement

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়েছিল ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। আদালতের সদ্য শেষ হয়েছে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু সুরাহা হয়নি শিক্ষাকর্মীদের। এমনকি তাঁদের পরবর্তী পরীক্ষায় বসার আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়াও পিছিয়ে যাচ্ছে।

গত ২৯ অগস্ট এসএসসির তরফে জানানো হয়েছিল, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ফের এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছে, এখনই আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, স্কুলে স্কুলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা পিছাচ্ছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পুজোর পরেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর। গত ৩ এপ্রিল থেকে চাকরিহারা গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে সরকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করলেও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্থগিত হয়ে যায়। আদালতেরই নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আতান্তরে পড়ে রইলেন শিক্ষাকর্মীরা।

বেতনহীন গ্রুপ সি চাকরিপ্রার্থী সত্যজিৎ ধর বলেন, “গত এপ্রিল মাসের পর থেকে বেতন বন্ধ। শিক্ষকদের বিষয়ে পদক্ষেপ করলেও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে যেন কোনও মাথাব্যথাই নেই। শিক্ষাকর্মী হিসেবে আমরা ‘যোগ্য’ হয়েও সরকার আমাদের ব্রাত্য করে রেখেছে। আদৌ কিছু হবে আমাদের! কিছুই বুঝতে পারছি না।”

এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, গ্রুপ সি-র জন্য ২৯৮৯ এবং গ্রুপ ডি-তে নিয়োগের জন্য ৫৪৮৮ শূন্যপদ রয়েছে। সে জন্য নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে শীঘ্রই। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মিলিয়ে ‘যোগ্য’ চাকরিহারার সংখ্যা ৩,৩৯৪। এর মধ্যে গ্রুপ সি-তে রয়েছেন ১,২৫৫ জন। গ্রুপ ডি-তে ২১৩৯ জন। ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে এমন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর সংখ্যা গ্রুপ সি-তে ৭৮২। গ্রুপ ডি-তে ২,১৩৯। আর আউট অফ প্যানেল শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা ৯৯০।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement