WBCHSE Online Tutorial for HS Students

বাড়ি বসেই পড়ুয়ারা পেয়ে যাবে পরীক্ষার সাজেশন, বিশেষ পদক্ষেপ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের

বাংলার ‘শিক্ষা ক্লাসরুম’-এর ধাঁচেই অনলাইনে সাজেশনের ব্যবস্থা করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১৭:৫৩
Share:

পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে বিশেষ পদক্ষেপ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। — ফাইল চিত্র।

এক বছরও হয়নি সমাজমাধ্যমে সক্রিয় হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এরই মধ্যে বড় ঘোষণা। শিক্ষা সংসদের তরফে বাংলার ‘শিক্ষা ক্লাসরুম’-এর ধাঁচেই বিষয়ভিত্তিক ভিডিয়ো টিউটোরিয়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের নিরিখে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকারা নিয়মিত সাজেশন দেবেন।

Advertisement

এ ছাড়াও প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসতে পারে, সেই নমুনা প্রশ্নের মাধ্যমে কী ভাবে পড়ুয়ারা প্রস্তুতি নেবেন— সবটাই টিউটোরিয়ালে আলোচনা করবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই বিশেষ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য। তিনি বলেন, “একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে একাধিক নতুন বিষয় সংযোজিত হয়েছে, যা বোঝার জন্য নিয়মিত চর্চায় থাকা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাউন্সিলের টিউটোরিয়ালও সমান ভাবে শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক টিউটোরিয়াল ভিডিয়ো ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটের। বিদ্যাসাগর ভবন থেকেই সমস্ত ভিডিয়ো রেকর্ড করে তা সমাজমাধ্যমে আপলোড করা হবে। পড়ুয়ারা সেই ভিডিয়ো দেখতে চাইলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে কিংবা সমাজ মাধ্যমের পাতায় নজর রাখতে পারে।

Advertisement

অনলাইনে ক্লাস করার ক্ষেত্রে এই ভিডিয়ো টিউটোরিয়াল পন্থা কতটা যুক্তিযুক্ত? যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানিয়েছেন, বেশির ভাগ নতুন বিষয়ের ক্ষেত্রে বই নেই বা থাকলেও তা সংখ্যায় যথেষ্ট নয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনলাইন টিউটোরিয়াল যথেষ্ট সহায়ক হবে। তবে তিনি মনে করেন, দু’টি পৃথক পোর্টালে একই বিষয়ের সাজেশন দেওয়া ততখানি যুক্তিসঙ্গত নয়।

আসানসোলের হীরাপুর মানিকচাঁদ ঠাকুর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্যের মতে, সেমেস্টার পদ্ধতির সঙ্গে সড়গড় হওয়ার জন্য এই ধরনের টিউটোরিয়াল যথেষ্ট কার্যকরী হতে চলেছে। তবে তিনি আরও বলেন, “পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সমান ভাবে তাল মিলিয়ে চলা প্রয়োজন। সেই বিষয়েও যদি কাউন্সিল নজর দেয়, তা হলে পঠনপাঠনের বিষয়টি স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।”

সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। তবে উভয় পক্ষ-ই ফোনে অধরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement