ভূতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে পড়ার খুঁটিনাটি। ছবি: সংগৃহীত।
ভূমিকম্প থেকে সুনামি, ভূত্বকের গঠন বা পর্বতের উৎপত্তি— সবই শেখায় ভূতত্ত্ববিদ্যা বা জিয়োলজি। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ার সুযোগ মিলবে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের পর চাকরির কী কী সুযোগ রয়েছে— এই প্রতিবেদনে তার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।
ভূতত্ত্ববিদ্যায় সাধারণত পেট্রোলজি, স্ট্রাকচারাল জিয়োলজি, হাইড্রোজিয়োলজি, এনভায়রনমেন্টাল জিয়োলজি, জিয়োফিজিক্স ও জিয়োকেমিস্ট্রি-সহ বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়গুলি পড়তে হয়। তাই কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞান বিষয়ে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। এর পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স, মাস্টার অফ সায়েন্স পড়ার সুযোগ রয়েছে।
এই দুই ডিগ্রি অর্জনের পর উচ্চ স্তরে পড়ার সুযোগও থাকে। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) উত্তীর্ণ হয়ে গবেষণার কাজ করা যায়। পিএইচডি-র সুযোগ রয়েছে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।
আইআইটি খড়্গপুর।
এ ছাড়াও, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরও প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় এই বিষয়ে।
চাকরির কেমন সুযোগ রয়েছে—
ভূতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার পর গবেষণার সুযোগ থাকে বিপুল। ভূতত্ত্বের নানা বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে দেশ-বিদেশের নানা প্রতিষ্ঠানে। সেখানে বেশির ভাগ সময়ই গবেষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। তাই এই বিষয় নিয়ে পড়ার পর দেশের মধ্যে তো বটেই বরং দেশের বাইরে গিয়েও গবেষক হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
পেট্রোলিয়াম এবং খনিজ উত্তোলন সংস্থায় জিয়োলজিস্ট পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
কোল ইন্ডিয়া, ওএনজিসি, ইসরো-সহ সরকারি সংস্থাগুলিও জিয়োলজিস্ট নিয়োগ করে থাকে।
এ ছাড়াও বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ থাকে এই বিষয় নিয়ে পড়ার পর।