বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় চৈতি ঘোষাল। —নিজস্ব চিত্র।
গত বছর আড়ম্বরহীন লক্ষ্মীপুজো করেছিলেন। দুর্গাপুজোতেও উৎসব থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন। তার কারণ, গত বছরে তাঁর একটাই লক্ষ্য ছিল, আরজি কর কাণ্ডের বিচার পাওয়া। তবে এ বার সমস্ত রীতি মেনেই ফের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মন দিলেন চৈতি ঘোষাল।
প্রতি বছরের মতোই এ বারও সকাল থেকে তাঁকে ঘিরে ছিল পুজোর ব্যস্ততা। রবিবার সহকারীকে নিয়ে সেরে রেখেছিলেন পুজোর বাজার। সোমবার সকাল থেকে পুত্র অমর্ত্যকে নিয়ে পুজোর আয়োজন শুরু করেন তিনি। লক্ষ্মীপ্রতিমা সাজানো থেকে শুরু করে রান্না সব নিজে হাতেই করেছেন চৈতি। রান্নার মধ্যে রয়েছে খিচুড়ি, পায়েস, পাঁচ রকমের ভাজা, নাড়ু, মিষ্টি।
চৈতি জানান, ২০১৭ সাল থেকে নিজে হাতে লক্ষ্মীপুজো করছেন তিনি। তার আগে তাঁর মা দুর্গাপুজো করতেন। চণ্ডীপাঠ করতেন চৈতির মা। দুর্গাপুজোর পরে তার পরে তাঁর মা-ই লক্ষ্মীপুজো করতেন। অভিনেত্রী বলেন, “২০১৭ সাল থেকে এই পুজো করছি। মাঝে গত বছর বাধা পড়েছিল। পুজো করেছিলাম। কিন্তু আড়ম্বর ছিল না কোনও। আমার এই পুজোটা শুধু আমার নয়। আলপনা দিয়েছে আমার বন্ধু। আমার বোন সাজিয়েছে। অমর্ত্য পটুয়াপাড়া থেকে টানা চোখের প্রতিমা নিয়ে এসেছে। আমরা সবাই মিলেই সবটা করেছি।”
পুজোর দিনের জন্য বেছে নিয়েছেন কমলা ও রানির মিশেলে ঢাকাই জামদানি ও তার সঙ্গে সাবেকি সাজ। অমর্ত্য পরেছেন ধুতি, পাঞ্জাবি, আর মায়ের নেকলেস। সাজ নিয়ে বরাবরই তিনি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসেন। চৈতির আয়োজন করা পুজোয় দেখা যায় কলাপাতার ভেলা। এই ভেলাকে মনসামঙ্গলের চাঁদ সদাগরের নৌকার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “মা মনসা পূজিত হচ্ছিলেন না বলে চাঁদ সদাগরকে বিপদে ফেলছিলেন। কিন্তু তাও সদাগরকে থামানো যায়নি।”
এই নৌকা কি চৈতির কাছে প্রতীকী? চৈতির ইঙ্গিতবহ উত্তর, “আসলে ভয় দেখিয়ে থামিয়ে রাখা যায় না। অসফল হতেই পারে অনেকে। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”