Debleena Birtday Special

কারও সঙ্গে যদি জড়াতে পারতাম! এক এক সময় এই বাসনা মনকে দখল করে, জন্মদিনের আগে দেবলীনা

“মন থেকে চাইছি, এই ইচ্ছাপূরণ হোক। হলে সত্যিই ভীষণ খুশি হব। কিন্তু হচ্ছে কই?”, বক্তব্য অভিনেত্রীর।

Advertisement

দেবলীনা দত্ত

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২০
Share:

দেবলীনা দত্ত প্রেম চান? ছবি: ফেসবুক।

এই ভুল বুঝি শুধরানোর নয়। উইকিপিডিয়া দু’দিন আগে আমার জন্মদিন বানিয়ে দিয়েছে। জন্মেছি ২২ এপ্রিল। গুগলে লেখা ২০ এপ্রিল। প্রত্যেক বছর সকলে দুদিন আগে থেকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন। এ বছর যেন সীমা পেরিয়ে গেল! ১৮ এপ্রিল থেকে লোকে ফোন করছে। কাজের কারণে বাইরে গিয়েছিলাম। সকলের ধারণা, জন্মদিন উপলক্ষে আমি বেড়াতে গিয়েছি। অবশ্য এমন ভাবাটাও স্বাভাবিক। কারণ, গত ন’বছর ধরে জন্মদিনে আমি শহরের বাইরে থাকি।

Advertisement

ফলে, শুভেচ্ছা জানাতে ফোন আসছে। সঙ্গে অসংযত কৌতূহল। আমার সঙ্গে কি বিশেষ কেউ আছেন?

প্রচণ্ড বিরক্ত আমি। বলতে পারেন, নিজের উপরেই। কেন এখনও কাউকে বিশ্বাস করাতে পারলাম না, যে প্রেমে ছিলাম সেই প্রেম থেকে এখনও বেরোতেই পারিনি। ফলে, আমার প্রেমের জন্য এখনও কাউকে প্রয়োজন পড়ছে না! টলিউড থেকে সাধারণ মানুষ— কারও না কারও সঙ্গে নাম জুড়ে দিচ্ছে। তাই নিয়ে কানাকানি। আমি চুপচাপ সহ্য করি, দেখি সব কিছু। কিন্তু কাঁহাতক ভাল লাগে?

Advertisement

সেই জায়গা থেকেই বলছি, এখনও আমি একা। আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস সে কথাই বলে। তার পরেও একেক সময় মনে হয়, কারও সঙ্গে যদি জড়িয়ে যেতে পারতাম! বেশ হত। এক এক সময় এই বাসনা তীব্র ভাবে মনকে দখল করে। আমি সর্বান্তঃকরণে চাইতে থাকি, আমার জীবনে কেউ আসুক। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘ইন রিলেশনশিপ’ লিখি। মন থেকে চাইছি, এই ইচ্ছাপূরণ হোক। হলে সত্যিই ভীষণ খুশি হব। কিন্তু হচ্ছে কই?

তাই যেখানে, যে ভাবে ছিলাম— সে ভাবেই রয়ে গিয়েছি।

এ বারের জন্মদিনে কপালে বেড়াতে যাওয়া নেই। এ বার আমার শুটিং থাকবে। গত অগস্ট থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত একের পর এক কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমার। তাই মন না চাইলেও কাজে মন বসাতে হবে। শুটিং না করে বেড়াতে যাওয়ার মতো বিলাসিতার উপায় আমার আর নেই। বলতে পারেন, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। কিন্তু আপোস করিনি।

সব দিক বিবেচনা করে মনে হচ্ছে যা হল বেশ ভালই হল, অনেক দিন পরে জন্মদিনে আবার শহরে। এটাই বা মন্দ কী? পাশাপাশি, শরীরটাও ভাল নেই। শহরের বাইরে গিয়ে খোলা হাওয়ায় অনেকটা সময় কাটিয়ে জ্বর বাধিয়েছি। ফিরে এসে বাড়িতে শয্যাশায়ী। মা ধরে ধরে বাথরুমে নিয়ে যাচ্ছে। ২২ এপ্রিল তাই কেমন কাটবে আমার কে জানে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement