Jaya Ahsan On Handloom Day

প্রথম প্রেমিক কী শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন? জয়া-সোনালির আড্ডা থেকে জেনে নিল আনন্দবাজার ডট কম

জয়া আনন্দবাজারের জন্য মাকে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাড়ি আনালেন! সেই শাড়ি পরতে গিয়ে বিড়ম্বনা, বয়স কত শাড়ির?

Advertisement
স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপালি মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১৬:১৭
Share:
০১ ১১

জয়া আহসানের একই অঙ্গে সে দিন কমলা আর নীল ফুটে ছিল! এক অঙ্গে দু’রকমের শাড়ি। দুটোই বেনারসি। একটি ঘন নীল। অন্যটা কমলা। দুই শাড়ির জমিনে সোনালি জরির ফুল।

০২ ১১

এমনটাই যেন জয়া, যখন-তখন শাড়ির প্রেমে পড়তে পারেন। বিশেষ করে পুরনো শাড়ির। সেটি যদি হাতে বোনা শাড়ি হয় তা হলে তো কথাই নেই। নিজেকে সাজানোর জন্য কলকাতায় বসে ঢাকা থেকে পছন্দের পুরনো শাড়িও আনাতে পারেন! আর সেটাই করেছেন শুধু আনন্দবাজার ডট কমের জন্য।

Advertisement
০৩ ১১

জয়া অনেক বার অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “নতুন শাড়ি অকাতরে বিলিয়ে দিতে পারি। পুরনো শাড়ি? ওগুলো আমার এক একটি অনুভূতি। ওদের কাছছাড়া করতে পারব না।”

০৪ ১১

সেই জয়া হ্যান্ডলুম দিবস উদ্‌যাপন করতে মাকে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাড়ি আনালেন! সেই শাড়ির বয়স কত? নায়িকার হিসাব, “কম করে ৫০ বছর! আমার মায়ের বিয়ে আর বৌভাতের শাড়ি। কলকাতা থেকেই গিয়েছিল।”

০৫ ১১

নিজের অভিনয় নিয়ে জয়া যত না অনর্গল, তার থেকেও অনায়াস শাড়ির প্রসঙ্গ উঠলে। এ দিনও তাই ঘটল। শাড়ি-প্রেম নিয়ে বলতে বলতে নায়িকা স্মৃতিমেদুর। বললেন, “অন্যেরা পুরনো পোশাক সরিয়ে আলমারি হালকা করেন। নতুন পোশাক রাখেন। আমি উল্টো। পুরনো কোনও কিচ্ছু বাদ দিতে পারি না!”

০৬ ১১

কথা বলতে বলতেই সাজ শুরু। রূপসজ্জাশিল্পী নূর আলম (বাবাই) এ দিন নায়িকাকে সাজালেন সাবেকি ঢঙে। পিঠছাপানো চুল বাঁধা পড়ল বিনুনি খোঁপায়। “যেহেতু জমকালো শাড়ি, তাই রূপটান হালকা। বড় টিপ, ন্যুড লিপস্টিক, ছিমছাম মেকআপ আর সাবেকি সোনার গয়না। এতেই সাজালাম জয়াকে।” খোঁপাও সেজেছিল সোনার কাঁটায়।

০৭ ১১

এই বিশেষ শুটের আয়োজন হয়েছিল আর এক অতিপরিচিত অভিনেত্রীর বাড়িতে। সেই বাড়ির কানায় কানায় ঐতিহ্য, আভিজাত্য। তিনি সোনালি বসু (গুপ্ত)। তাঁর মা-বাবা খ্যাতনামী অভিনেত্রী, পরিচালক। দীনেন-কাজল গুপ্তের কন্যার অন্দরসজ্জায় সাবেক আর আধুনিকতার অদ্ভুত সহবাস। মানুষসমান আয়নার সামনে দুই শাড়ি সামলাতে সামলাতে জয়া যখন গিয়ে দাঁড়ালেন, মনে হল, পুরনো শাড়িও বুঝি নতুন রূপকথার জন্ম দেয়!

০৮ ১১

নারী আর শাড়ি অভিন্ন। সোনালিও প্রস্তুত প্রায় দেখা না পাওয়া এক বালুচরিতে। দুই সুন্দরী মুখোমুখি বসতেই টের পাওয়া গেল, সোনালিও শাড়ি নিয়ে কাজ করেন। পুরনো শাড়ির প্রতি অদ্ভুত মায়া তাঁরও। ৪০-৫০ বছরের আগের শাড়ির ঐতিহ্য কী করে ফিরিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টাই করে চলেছেন তিনি।

০৯ ১১

সোনালি-জয়া সম্প্রতি অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘ডিয়ার মা’ ছবিতে মা- মেয়ের চরিত্রে কাজ করে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন। ছবির গল্প করতে করতেই তাঁরা ভাগ করে নিলেন শাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের টিপ্‌সও। যেমন, দু’জনেই শাড়ি নরম কাপড়ে মুড়ে রাখেন। মাঝেমধ্যে বদলে দেন শাড়ির ভাঁজ।

১০ ১১

সোনালি, জয়া দু’জনেই হাতে বোনা শাড়ি ভালবাসেন। যন্ত্রে বোনা শাড়ি নয়। দুঃখ করলেন, যান্ত্রিক যুগে হ্যান্ডলুম শাড়ি একটু যেন কোণঠাসা। তুলনায় দাম বেশি, তাই এখন মানুষ যন্ত্রে বোনা শাড়িতেই আগ্রহী। “তবু হাতে বোনা শাড়িতে যেন স্নেহ বোনা থাকে। আমি আমাদের দেশের তাঁত মহল্লায় গিয়ে দেখেছি। মানুষের আঙুলের ছোঁয়ায় তৈরি শাড়ির সমান কখনও যন্ত্রে বোনা শাড়ি হতে পারে না”, নিশ্চিত জয়া। জয়া এবং সোনালি তাই বিশেষ দিনে শাড়িপ্রেমীদের অনুরোধ করলেন, “মানুষের পরিশ্রমের মর্যাদা দিন। হ্যান্ডলুম শাড়ি দীর্ঘজীবী হোক।” কেউ যদি জয়ার মতো করে খুব প্রিয় দুটো শাড়ি একসঙ্গে পরতে চান? উত্তর দিলেন সজ্জাশিল্পী নূর (বাবাই)। তিনি বললেন, “যাঁরা শাড়ি পরান তাঁদের কাউকে দিয়ে অনায়াসে যে কেউ যে কোনও উৎসবে নিজেকে এমন করে সাজাতে পারেন। বেশ অন্য রকম দেখাবে কিন্তু।”

১১ ১১

শাড়ি নিয়ে কথার মাঝেই উঠে এল প্রথম প্রেম। প্রেমিক পুরুষ ভালবেসে নারীকে যখন শাড়ি উপহার দেন, তার আবেদনই আলাদা। কথা পেড়েই সোনালির দুষ্টু প্রশ্ন জয়াকে, “তোমার গল্প শুনি?” নায়িকার আফসোস, “সে আর হল কই? আমায় প্রথম শাড়ি দিয়েছিলেন আমার দিদা। তখন আমি সপ্তম শ্রেণি। বুঝলাম, বড় হয়ে গিয়েছি।” এ বার সোনালির পালা। লাজুক হেসে জামরঙা সিল্কের শাড়ির আঁচল সামলাতে সামলাতে বললেন, “আমার একটাই প্রেম। জীবনে একজন পুরুষ এসেছেন, আমার স্বামী।” তিনি প্রথম শাড়ি দিয়েছিলেন অভিনেত্রীকে। কালো সিল্কে নানা রঙের ফুল। “শাড়িটা যত্নে রেখেছি। একদম নতুনের মতো। ফাঁকা সময়ে হাত বোলাই শাড়ির গায়ে। স্মৃতি ফিরে ফিরে আসে।”

মডেল: জয়া আহসান, সোনালি বসু। ভাবনা ও পরিকল্পনা: স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃতজ্ঞতা: ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। জয়ার গোলাপি শাড়ি: শ্যামসূত্র। রূপসজ্জা: নূর আলম (বাবাই)। ছবি: তথাগত ঘোষ। স্থান: সোনালি অ্যাপার্টমেন্ট। আয়োজন: উপালি মুখোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement