(বাঁ দিকে) অজয় দেবগন, (ডান দিকে) কাজল। ছবি: সংগৃহীত।
কাজল ও অজয় দেবগনের প্রায় ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবন। তবে তাঁদের প্রেমজীবনের ২৮ বছর পূর্ণ হল। ১৯৯৭ সালে ‘ইশ্ক’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। সেই ছবির পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এ দিন সেই সিনেমার ‘ইশ্ক হুয়া’ গানটির সঙ্গে অভিনেত্রীর একগুচ্ছ ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন অজয়। আর তা দেখে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী।
অজয় সেই গানের প্রথম তিনটে বাক্যকে তিনটি ভিন্ন ছবিতে ভেঙে ব্যবহার করেন। প্রথম ছবিতে ‘ইশ্ক হুয়া’ লেখেন, সঙ্গে তাঁর ও কাজলের ছবি। তার পরে ‘ক্যায়সে হুয়া’-র সঙ্গে তাঁদের বিয়ের ছবি। সব শেষে ‘আচ্ছা হুয়া’ লিখে সঙ্গে ছেলেমেয়ে সমেত একটি ছবি ভাগ করে নেন। তাতেই ফুঁসে উঠে কাজল লেখেন, ‘‘সবই হল, কিন্তু তুমি তো পোষ্যের কথা ভুলে গেলে।’’ অভিনেত্রীর এমন খুনসুটিতে ভরা মন্তব্যে অনেকেই তাঁদের মিষ্টি জুটির তকমা দিয়েছেন।
অনেকে যদিও আবার একে ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্যের চোখে দেখেছেন। কারণটা অবশ্য অজয়ের করা একটি পুরনো মন্তব্য। এক সাক্ষাৎকারে অজয় দাবি করেছিলেন, বর্তমান প্রজন্মের প্রেম খুবই গা-ছাড়া। এতে তেমন কোনও গভীরতা নেই। তাঁদের সময়ে প্রেমের মানে খুবই গভীর ও শক্তিশালী ছিল, দাবি করেন অজয়। এর পরেই অজয় জানান, তিনি আজকাল শুধু পোষ্যদের প্রতিই ভালবাসা অনুভব করতে পারেন। অভিনেতা বলেছিলেন, “ভালবাসা পাওয়ার মধ্যে এক অদ্ভুত সন্তুষ্টি রয়েছে। আমরা প্রেমে পড়লে যে অনুভূতি তৈরি হত, নতুন প্রজন্মেরও সেই অভিজ্ঞতা হোক, এমন চাইব। আজকাল ওই মাপের ভালবাসা শুধুই পোষ্যের প্রতি অনুভব করা যায়। এই ভালবাসাই শর্তহীন হয়ে থাকে। প্রার্থনা করব, মানুষেরও এমন অনুভূতি হোক।” তবে কি অজয়কে ওই মন্তব্যের জন্যেই ঘুরিয়ে খোঁচা দিলেন কাজল? ধন্দে অনুরাগীরা!