উৎসব মুখোপাধ্যায়কে কে হেনস্থা করছেন? ছবি: সংগৃহীত।
আজ নয়, একদিন বা দু’দিনও নয়! একটা লম্বা সময় ধরে সমাজমাধ্যমে হেনস্থার শিকার পরিচালক-চিত্রনাট্য-কাহিনিকার উৎসব মুখোপাধ্যায়। আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে জানালেন, যিনি এ ভাবে অপমানিত করছেন তিনি তাঁর নাড়িনক্ষত্র জানেন! সোনিকা চৌহান থেকে হালফিলের বন্ধু— কিচ্ছু অজানা নেই তাঁর। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি, সবিস্ময় প্রশ্ন তাঁর।
সম্প্রতি, মুক্তি পেয়েছে উৎসবের লেখা কাহিনিভিত্তিক ছবি ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’। ছবিটি প্রচার ছাড়াই দর্শকদের আকর্ষণ করেছে। তার পরেই নাকি নতুন করে ফের হেনস্থার শিকার তিনি। তাঁর কথায়, “হেনস্থাকারী মাঝে কিছু সময়ের জন্য বিরতি দিয়েছিলেন। যেন শ্বাস নিতে দিয়েছিলেন আমাকে। ফের শুরু!” ছবির সাফল্য মানেই কাহিনিকারও সফল। সেই ঈর্ষায় কেউ করছেন না তো? প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। পরিচালক-কাহিনি-চিত্রনাট্যকারের মতে, “অনেক দিন ধরেই চলছে এ সব। নতুন শুরু হলে, এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতাম।”
হেনস্থাকারী সমাজমাধ্যমে উৎসবের নামে কুৎসা ছড়াতে গিয়ে কী করেননি! নানা সময় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ছবি বা ভিডিয়ো বিকৃত করে ছড়িয়ে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। বাড়তি উপদ্রব, সেই ছবি বা ভিডিয়োর নীচে কুরুচিকর মন্তব্য। উৎসবের দাবি, অন্যান্য সাইবার প্রতারণা থেকে এই প্রতারণার পার্থক্য হল, কোনও একটি উদ্দেশ্য নিয়েই তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি উঠে এসেছে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমিকা প্রয়াত সোনিকা চৌহানের নামও! উৎসবের দাবি, “সোনিকাকেও যে চিনতাম সেটাও জানেন হেনস্থাকারী!”
সেই সময় কলকাতার সাইবার অপরাধদমন শাখার দ্বারস্থ হয়েছিলেন উৎসব। তাঁরা খোঁজখবর করে বুঝেছিলেন, উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে। যদিও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি।
মে মাসে মা, সেপ্টেম্বরে বাবাকে হারিয়েছেন উৎসব। “আমি এখন সমাজমাধ্যমে বার্তা দেওয়ার মতো মানসিকতাতেই নেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে”, আক্ষেপ তাঁর। হেনস্থাকারী যে অভিযোগকারীর ঘনিষ্ঠ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই সাইবার অপরাধদমন শাখার অফিসারদেরও।
উৎসবের প্রতি সুপ্ত ভালবাসা বা দুর্বলতা থেকে কেউ এ রকম কিছু করছেন না তো? হয়তো উৎসব তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কোনও সময়ে!
উৎসবের উত্তর, “অনেক বছর ধরেই বিবাহবিচ্ছিন্ন, একা জীবন কাটাই। ফলে, কারও দুর্বলতা তৈরি হতেই পারে।” ব্যঙ্গভরেই রঙ্গ করেছেন তিনি, “কে আমায় এত ভালবাসেন যে, না পেয়ে লাগাতার হেনস্থা করছেন!”