ছোটপর্দার নায়িকারা কোন গল্প শোনালেন? ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বকর্মাপুজো মানে খাওয়াদাওয়া, ঘুড়ি ওড়ানো। একটা সময়ে বিশ্বকর্মাপুজোর বিকেলে ছাদে ছাদে ঘুড়ির লড়াই দেখা যেত। এখন সেই চল কমেছে। ছোটপর্দার নায়িকারা কখনও কি ঘুড়ি উড়িয়েছেন? পর্দার ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘সুদীপা’, ‘কথা’, ‘তটিনী’রা বিশ্বকর্মাপুজোয় কোন গল্প শোনালেন?
তাঁরা যে সবাই খুব ঘুড়ি ওড়াতে ভালবাসেন, তেমন নয়। কারও বিশ্বকর্মাপুজোয় রক্তারক্তি কাণ্ড হয়েছিল, কেউ আবার শুটিংয়ের জন্য বাধ্য হয়েছিলেন ঘুড়ি ওড়াতে। তবে সময়ের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর নিয়মটাই যেন ফিকে হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীদের।
পর্দার সুদীপা ওরফে অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ বললেন, “আমি গ্রামের মেয়ে। ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়াতাম ভাইয়ের সঙ্গে। মাঞ্জায় এক বার হাত কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড। তার পর থেকে ভয় পাই।” যদিও বিশ্বকর্মাপুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর থেকেও রান্নাপুজো নিয়ে বেশি আগ্রহী অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী তৃণার অবশ্য অন্য কাহিনি। যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন। ভাই, বোন মিলে একসঙ্গে বড় হওয়া তাঁদের। এখন বিশ্বকর্মাপুজো নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি না হলেও ছোটবেলায় এই দিনটায় খুব আনন্দ হত। একসঙ্গে ছাদে ঘুড়ি ওড়াতেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, দাদারা ঘুড়ি ওড়াতেন, লাটাই ধরার দায়িত্ব থাকত তাঁর কাঁধে।
তবে ধারাবাহিকের গল্পেও ইদানীং অনেক পুজোর দৃশ্য দেখানো হয়। গল্পের স্বার্থে অবশ্য বড় হয়ে শুটিংসেটে ঘুড়ি উড়িয়েছেন পর্দার ‘কথা’, ‘জগদ্ধাত্রীরা’। অভিনেত্রী সুস্মিতা দে বললেন, “আমি ঘুড়ি ওড়াতে পারি না। তবে ‘কথা’র সেটে ওড়াতে হয়েছে। ধারাবাহিকে গল্পের জন্য অনেক কিছুই করতে হয়েছে।”
অঙ্কিতা মল্লিকের অবশ্য বিশ্বকর্মাপুজো নিয়ে খুব মাতামাতি নেই। বহুদিন পরে একটা ছুটি পেয়েছেন। তাই চুটিয়ে এই দিনটা নিজের মতো উপভোগ করতে চান।