মালাইকা, সারা, কীর্তির প্রিয় পানীয় কী কী? ছবি: সংগৃহীত।
ভুঁড়ির জ্বালায় পছন্দের পোশাক বাতিল। অতিরিক্ত মেদে দম ফুরিয়ে আসে। শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় তলপেটেই যত ভার। কৃচ্ছ্রসাধন করেও জেদি মেদ ঝরানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনই পরিস্থিতির জন্য চোখ রাখতে পারেন দেশের তিন নায়িকার কৌশলে। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেন তাঁরা। তিন সবুজ পানীয় পান করেন সকাল সকাল। আপনিও কোনও একটি পানীয়কে নিজের রুটিনে যোগ করে দেখতে পারেন। বিপাকক্রিয়াকে উন্নত করে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সক্ষম সেগুলি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। সঙ্গে যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা যায়, তা হলে উপকার পাবেন বলে দাবি অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা, সারা আলি খান এবং কীর্তি সুরেশের।
মালাইকা অরোরা: দিন শুরু করেন সাদা জিরে এবং জোয়ান ভিজানো জল পান করে। সারারাত গরম জলে এই দু’টি মশলা ভিজিয়ে রাখেন মালাইকা। সকালে খালি পেটে হালকা সবুজ পানীয়টি পান করেন। মিশ্রণটি হজমক্ষমতা বাড়ায় এবং চর্বি পুড়তেও সাহায্য করে। হজমের জন্য দায়ী এনজ়াইমগুলিকে সক্রিয় করে দ্রুত খাদ্যকণাকে ভাঙতে সাহায্য করে জিরে ও জোয়ান। ফলে পেট ফাঁপার সমস্যাও কমে যায়। ফোলা ফোলা দেখায় না তলপেট।
সারা আলি খান: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)-এ ভুগতেন সারা। এক সময়ে তাঁর ওজন ছিল ৯৬ কিলোগ্রাম। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, ব্যায়ামের সাহায্যে আজ তিনি মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হয়েছেন। সারার সকাল শুরু হয় সবুজ এক পানীয় দিয়ে। ঈষদুষ্ণ জলে হলুদ আর পালংশাক বাটা মিশিয়ে পান করেন সারা। হলুদের কারকিউমিন ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ পালংশাক মিশিয়ে দিলে এই প্রক্রিয়ার গতি আরও বেড়ে যায়। সঙ্গে হালকা গরম জল হজমের ক্ষমতা বাড়াতে পারে। নিয়মিত পান করলে উপকার পেতে পারেন আপনিও।
আপনিও কোনও একটি পানীয়কে নিজের রুটিনে যোগ করে দেখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
কীর্তি সুরেশ: টোন করা কোমর, মেদহীন পেট, কীর্তির মতো ছিপছিপে চেহারা পেতে সকাল সকাল তাঁর সুপারিশ করা পানীয় পান করে দেখতে পারেন। তিনি পালংশাক, সেলেরি, শসা, লেবুর রস, আদা এবং পুদিনা পাতার মতো উপকারী উপাদান মেশানো জল খান নিয়মিত। সকালে শরীরকে হাইড্রেট করার ক্ষেত্রে শসা এবং আদা বেশ কার্যকরী জুটি। পালংশাক ফাইবার, আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। সঙ্গে যোগ হয় লেবুর রসের ভিটামিন সি, সেলেরির হাইড্রেটিং ক্ষমতা। সব মিলিয়ে ফ্যাট ঝরানোর জন্য উপকারী টনিক হতে পারে কীর্তির পানীয়।