— প্রতীকী চিত্র।
ফিটনেসের অর্থ কঠোর ডায়েট বা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানো নয়। অনেক সময়ে দেখা যায়, নিয়মিত শরীরচর্চা বা ডায়েট করার পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট পদক্ষেপও ফিট থাকতে সাহায্য করে। কী ভাবে নিজের ফিটনেসকে আরও তরান্বিত করা সম্ভব? কয়েকটি পরামর্শ মানলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
১) ঘুমের সময়: ফিট থাকতে গেলে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটতে দেয় না। পাশাপাশি, শরীরকে পরবর্তী শরীরচর্চার জন্য তৈরি করতে সাহায্য করে। দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। আবার ছুটির দিনে বেসি ঘুমানোও ভাল লক্ষণ নয়।
২) হাঁটার বিকল্প নেই: যাঁরা সংসার এবং অফিসের চাপে কোনও রকম শরীরচর্চা করতে পারছেন না, তাঁরাও ফিট থাকতে পারেন। প্রতিদিন আট ঘণ্টা অফিসে ডেস্কে বসে কাজ করতে করতে শরীরের ফিটনেস কমে যায়। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নিয়ে হাঁটলে পেশীর কাঠিন্য দূর হয়। স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করলে, সেখানে টাইমান সেট করে কর পা হাঁটা হচ্ছে (চিকিৎসকেদের পরামর্শ, দিনে ৭ থেকে ১০ হাজার পা হাঁটা উচিত), তা-ও খেয়াল রাখা যায়।
৩) পর্যাপ্ত জল খাওয়া: গরমকালে শুধুমাত্র জল পানের হার বাড়ালে লবে না। সারা বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। শরীর থেকে দূষিত পর্দার্থ বার করতে জলের ভূমিকায় অনস্বীকার্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৫০০ মিলিলিটার জল পান করা উচিত। তার পর চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে।
৪) খাবারের অভ্যাস: পুষ্টিবিদদের একাংশের দাবি, খাবার খাওয়ার সময়ে মোবাইল বা টিভি দেখা উচিত নয়। এর ফলে খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে, ফলে কখন পেট ভরছে, তা বোঝা যায়। অকারণে বেশি খাওয়ার ঝুঁকি থাকে না। সময়ের সঙ্গে এই ভাবে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও অনেকটা কমে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও, রাতের খাবারের পর আর কিছু খাওয়া উচিত নয়। রাত জেগে টুকটাক খাওয়ার অভ্যাস ওজন বাড়িয়ে দেয়।
৫) সমাজমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ: ঘুম থেকে উঠেই সিংহভাগ মানুষ মোবাইল দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরেন। এই সময়ে ই-মেল বা অন্য কোনও নোটিফিকেশনের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে একটু শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে। সংবাদপত্র বা কোনও বই পড়া যেতে পারে। তাতে উপতার হয়।