ছবি : সংগৃহীত।
প্রোটিন স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জরুরি। এ কথা যেমন ঠিক, তেমনই এ-ও ঠিক যে কিছু কিছু প্রোটিন শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রদাহ, যাকে ইংরেজিতে ইনফ্ল্যামেশন বলা হয়, তা শরীরের জন্য জরুরি। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে এর যোগ আছে। তবে ইনফ্ল্যামেশন শরীরের প্রয়োজনের থেকে বেশি হয়ে গেলেই শুরু হয় সমস্যা।
গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত প্রদাহ থেকে আর্থ্রাইটিস, নানা ধরনের অটো ইমিউন ডিজ়িজ় হতে পারে। এমনকি, শরীরে ক্যানসারের বাসা বাঁধার একটি বড় কারণও অতিরিক্ত প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন। প্রদাহ বেশি হলে শরীরে বয়সের ছাপও দ্রুত পড়বে। তাই স্বাস্থ্য সচেতনেরা অনেকেই ইদানিং প্রদাহ বিরোধী বা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট করছেন।
ওই ধরনের ডায়েটের মূল কথাই হল প্রদাহ বাড়িয়ে দেয় এমন খাবার না খাওয়া। ফলে বাদ পড়ছে অধিকাংশ প্রাণিজ প্রোটিন। বদলে কী কী উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে? পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো জানালেন কোন কোন উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে প্রাণিজ প্রোটিনের মতোই গুণ রয়েছে, অথচ তারা প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না।
ডাল : ডালে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন এবং ফোলেট। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মুগ, মসুর, ছোলা, অড়হর এবং রাজমা নিয়মিত রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
কাবলি ছোলা : কাবলি ছোলায় প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ফাইবার। এ ছাড়া, ম্যাঙ্গানিজ, কপারের মত খনিজ। এতে ফোলেটও থাকে প্রচুর পরিমাণে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সয়াবিন : সয়াবিনে রয়েছে সবকটি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা প্রোটিন মাংসের প্রায় সমতুল। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়ক। সয়া মিল্ক, টোফু এবং সয়াবড়ি খেলেও সেই উপকার পাওয়া যায়।
বাদাম :চিনেবাদাম, কাঠবাদাম , কাজুবাদাম এবং আখরোট প্রোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়ামও থাকে।যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।।
বীজ :সূর্যমুখী বীজ , কুমড়ো বীজ এবং তিলের বীজ-এ প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাট থাকে। এগুলি হজমের জন্য এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে উপকারী।