প্রীতি জ়িন্টার শরীরচর্চার ঝলক। ছবি: সংগৃহীত।
প্রৌঢ়ত্বে পা দিয়েছেন সদ্য। পর্দায় সকলের প্রিয় 'জ়ারা' যে ৫০ বছরের কোঠা পেরিয়ে গিয়েছেন, তা যেন বিশ্বাসই হয় না নব্বইয়ের দশকের প্রজন্মের। তার কারণ কেবল স্মৃতিমেদুর আবেগ নয়, প্রীতি জ়িন্টার চেহারাও বিশ্বাসে বাধা দেয়। তারুণ্য ধরে রাখায় তিনি যে বেশ পারদর্শী, তা স্পষ্ট। সদ্য তাঁর একটি ভিডিয়োয় এই তথ্যই যেন ফের প্রমাণিত হয়। দেখা যাচ্ছে, পুরোদমে শরীরচর্চা করছেন প্রৌঢ় অভিনেত্রী। কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু হাল ছাড়ছেন না।
প্রীতি জ়িন্টা ইনস্টাগ্রামে সে ভিডিয়ো পোস্ট করে অনুরাগীদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি লিখছেন, "এতগুলো বছর ধরে কতটা শরীরচর্চা করেছেন, কী ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং প্রত্যেকেরই নিজের ধরন পাল্টানো উচিত। যাতে নিজের শরীর ও দেহকে আরও জোর দেওয়া যায়। যেমন আমি একটি নতুন কাজের জন্য নতুন ধরনের শরীরচর্চা শেখার চেষ্টা করছি। আশা করছি, জিমে যাওয়ার জন্য আপনাদের উৎসাহ দিতে পারব এ বার।" ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, প্রীতি একে একে ক্রাঞ্চেস, স্কোয়াটস, লাঞ্জেস, স্ট্রেচিং, পুলডাউনসের মতো শরীরচর্চায় ব্যস্ত। দেখা যাক, প্রীতির ব্যায়ামগুলির কোনটির কেমন উপকারিতা—
শরীরচর্চা করছেন প্রৌঢ় অভিনেত্রী প্রীতি জ়িন্টা। ছবি: সংগৃহীত।
ডাম্ববেল ও সুমো স্কোয়াটস: এই স্কোয়াট গ্লুট্স, কোয়াড্স এবং হ্যামস্ট্রিংস-এর উপর নজর রাখে। তা ছাড়া শরীরের ভারসাম্য ও নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য কোর মাস্লকে সক্রিয় রাখে।
সাইড লাঞ্জেস: উরু, নিতম্ব এবং গ্লুট্সের চারপাশের পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে। শরীরের ভারসাম্য উন্নত করে। এটি চোট সারাতেও সাহায্য করে।
কেব্ল কার্লস: এতে বাইসেপ্সে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। নিয়মিত অনুশীলন করলে পেশির সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
ক্রা্নচেস ও প্ল্যাঙ্কস: ওজন কমাতে ও পেশি টোন করতে সক্ষম ব্যায়ামটি। অন্য দিকে, প্ল্যাঙ্কস একাধিক পেশি সক্রিয় করে। শরীরের ভঙ্গিমা ঠিক রাখতে ও ভারসাম্য বাড়াতে সাহায্য করে।
আর্ম পুলডাউন: কাঁধ ও ট্রাইসেপ্সের উপর বিশেষ নজর দিতে এই ব্যায়াম কার্যকরী। শরীরের উপরের অংশের শক্তি বৃদ্ধি করে।