অভিনেতা বিবেক দহিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
ফিটনেসে নজর যতই থাকুক না কেন, অনেকেই আছেন মিষ্টি দেখলে লোভ সংবরণ করতে পারেন না। কারও আবার প্রতিদিন নিয়ম করে মিষ্টি না খেলে ঘুমই হয় না। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা মিষ্টি দেখলেই টপাটপ খেয়ে ফেলেন, থামতেই পারেন না। মিষ্টির প্রতি এমন লোভের মাসুল গুণতে হয়েছিল মুম্বইয়ের টেলি সিরিয়াল জগতের জনপ্রিয় মুখ বিবেক দহিয়াকেও।
সম্প্রতি তা নিয়েই মুখ খুলেছেন তিনি। গত এক দশকে টেলি সিরিয়ালের জগতে অভিনয় করে যথেষ্ট নাম করেছেন বিবেক। এমনিতে তাঁর ফিটনেস যথেষ্ট চর্চিত। মেদহীন, সুঠাম গড়ন তাঁর। কিন্তু মিষ্টির প্রতি অভিনেতার দুর্বলতা কিঞ্চিত বেশি। আইসক্রিম, চকোলেট এ সব মাঝেমধ্যেই খান তিনি। আর পছন্দ মাইসোর পাক।
দক্ষিণ ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টি এটি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ে শুটিং-এর তাঁর স্ত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী মাইসোর পাক মিষ্টি নিয়ে এসে একটি চেখে দেখতে বলেন। একটি খেয়ে আর থামতে পারেননি তিনি। বিবেকের কথায় ‘‘ একটা খেতেই মুখে মিলিয়ে গেল। পুরো বাক্সটা শেষ করে ফেলি। আরও একজন এই মিষ্টির বাক্স উপহার দিয়েছিলেন। সেটাও শেষ করে ফেলি।’’ তারপর অবশ্য ফল ভুগতে হয়েছিল বিবেককে। তিনি জানিয়েছেন, পরের দিন তাঁর মুখ, গাল ফুলে গিয়েছিল।
বিবেকের মতো এমন অনেকেই লোভ সামলাতে না পেরে একসঙ্গে বেশি মিষ্টি খেয়ে নেন। তার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ কণিকা মালহোত্রা। তিনি বলছেন, ‘‘বিবেকের অভিজ্ঞতাই প্রমাণ করছে অতিরিক্ত চিনি বা শর্করা একধাক্কায় শরীরে গেলে, শরীর কী ভাবে ফুলে যেতে পারে।’’ তিনি জানাচ্ছেন, একবারে বেশি মিষ্টি খেলে শরীরে আচমকা গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে শরীরে অস্বস্তি শুরু হওয়া, মুখ ফুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাঁর পরামর্শ, চিনি জাতীয় খাবার বা মিষ্টি খেলে তার মাত্রা থাকা দরকার। বেশি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা নয়, প্রোটিন, ফ্যাটের সঠিক সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।
মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হলে, স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কী করা যেতে পারে?
· প্রাকৃতিক মিষ্টি যুক্ত খাওয়া যেতে পারে। তালিকায় খেজুর, বেরি জাতীয় ফল রাখতে পারেন।
· খিদে পেলে বাদাম চিবোতে পারেন।
· চিনি-ছাড়া গাম চিবোলেও কিছুটা হলে বেশি মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমানো যেতে পারে।
· মিষ্টি যদি স্বল্প পরিমাণে খাওয়া যায়, তা হলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।