মাঝেমধ্যে একমাসের জন্য আমিষ খাওয়া বন্ধ রাখেন আলায়া, এতে শরীরের কী লাভ হয়? ফাইল চিত্র।
পছন্দের চিকেন রোস্ট দেখলেও দাঁতে কাটেন না আলায়া এফ (ফার্নিচারওয়ালা)। অভিনেত্রী পূজা বেদীর মেয়ে এই সবে পা রেখেছেন বলিউডে। এরই মধ্যে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে নিয়েছেন তিনি। সইফ আলি খান ও তব্বুর সঙ্গে অভিনয় করে পর্দায় হাতেখড়ি তাঁর। ছবির নাম, 'জওয়ানি জানেমন'। আলায়ার ফিটনেস, তাঁর সৌন্দর্য নিয়ে বেশ চর্চা হয়। আলায়া কী খান, কী ধরনের শরীরচর্চা করেন, সে নিয়ে কৌতুহলও রয়েছে। আলায়া নিজেই জানিয়েছেন, তিনি কী ভাবে ডায়েট করেন।
আলায়া নিরামিশাষী হয়ে গিয়েছেন, এমন খবর রটেছিল আগে। তবে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তিনি একেবারেই নিরামিষভোজী নন। বরং মাঝেমধ্যে মাসখানেকের জন্য আমিষ খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। এই সময়ে কেউ তাঁর পছন্দের চিকেন রোস্ট দিলেও তিনি ছুঁয়ে দেখেন না। এক সময়ে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)-এ ভুগতেন আলায়া। তাঁর অম্বলের সমস্যাও ছিল। তাই চিকিৎসক নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন মাছ, মাংস কমই খেতে বলেছিলেন। তাই মাঝেমধ্যেই তিনি ৩০ দিনের জন্য মাংস বা মাছ খাওয়ায় ইতি টানেন।
আলায়ার মতো ৩০ দিনের জন্য মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে?
এক মাসের জন্য যদি প্রোটিন খাওয়া বন্ধ রাখা যায়, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিরাসাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কমানোর জন্যও প্রোটিন কম খেতে বা কিছু দিনের জন্য না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৩০ দিনের জন্য মাংস না খেলে আরও কিছু লাভ হতে পারে। যেমন, পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে। যাঁরা প্রচুর পরিমাণে মাছ-মাংস খেতে অভ্যস্ত, তাঁরা যদি মাঝেমধ্য়ে বিরতি দেন, তা হলে বিপাকক্রিয়ার হার উন্নত হবে। হজমশক্তি আরও বাড়বে।
সব দিক বুঝে–শুনে খেতে পারলে নিরামিষ খাওয়া ভাল৷ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম ঢোকে শরীরে৷ তার হাত ধরে স্থূলত্ব, ইস্কিমিক হার্ট ডিজ়িজ়, হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস ও ক্যানসারের আশঙ্কা কমে যায়৷ নিরামিষ খাবার সহজে হজম হয়৷ প্রোটিনের কম খাওয়ায় কিডনির উপকার হয়, বিশেষ করে বয়স বাড়লে মাছ-মাংস খাওয়ায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার হয়ে পড়ে৷ আমিষ খাবার খেলে যা অনেক সময় সম্ভব হয় না৷
তবে নিরামিষ খেতে হলে বুঝেশুনে খাওয়া উচিত। নিরামিষ মানেই একগাদা তেল বা ঘি দিয়ে রান্না খাবার খেলে হিতে বিপরীত হবে। নিরামিষের মধ্যে এমন খাবার রাখতে হবে, যা থেকে ভিটামিন, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমান পরিমাণে শরীরে ঢোকে। খোসা সমেত ডাল, ব্রাউন ব্রেড, ব্রাউন রাইস, টাটকা ও শুকনো বিন, রাজমা, ছোলা, মটর, সয়াবিন, রঙিন শাকসব্জি, বাদাম, দুধ, দই, ছানা রোজের ডায়েটে রাখুন। ক্যালসিয়ামের জোগান পেতে দুধ, সয়াবিন, ডাল, খেজুর, ব্রকোলি, পালং শাক ইত্যাদির সঙ্গে খান ঘরোয়া সুষম খাবার৷