Diet

Weight Loss Tips: ওজন ঝরাতে সদ্য ডায়েট করছেন? ‘চিট মিল’ খাওয়ার নিয়ম জানা আছে কি?

ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সাধের বিরিয়ানি থেকে চাউমিন, সবের সঙ্গেই আড়ি করেছেন? তাই বলে কি মাঝেমধ্যে একটু ভালমন্দও খেতে নেই!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২২ ০৯:৩২
Share:

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়েট রুটিনের মাঝে কখনও কখনও এগুলি খেতেই পারেন। ছবি: সংগৃহীত

শরীরচর্চার আগে বা পরে

Advertisement

যদি চিট মিল খেতে চান, তা হলে একটু বুদ্ধি করে খান। হয় শরীরচর্চার আগে, নয় তো পরে খান। ওয়ার্কআউটের আগে খেলে গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়া রুখে দেবে। পরে খেলে তা পেশির ক্ষয় মেটাতে সাহায্য করবে।

সময়

Advertisement

চিট মিল খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিট মিল যত ছোট হবে, যত কম সময় ধরে খাবেন, শরীরে মেদ জমার পরিমাণও ততই কম হবে। চিট মিল যেন কখনওই ৩০-৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে না খাওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখুন। অনেকেই চিট মিল পরিবর্তে, চিট ডে বেছে নেন। অর্থাৎ, সারাদিন ধরেই চলে দেদার খাওয়াদাওয়া। এমনটা না করে দিনের একটি বেলার খাওয়া পছন্দ অনুযায়ী খান।

নিয়ম

চিট মিল কতটা খেতে পারেন, আপনার শরীরকে প্রশ্ন করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। যদি আপনি রোগা হন, তা হলে প্রায়শই চিট করতে পারেন। শরীরে মেদের পরিমাণ যত বেশি হবে, চিট করার অনুমতিও তত কম। তবে স্থূলতার সমস্যা থাকলে চিট মিল যতই কম খাবেন, ততই ভাল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

প্রতীকী ছবি

শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে শরীরচর্চা থেকে কড়া ডায়েট, সবটাই করছেন! ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সাধের বিরিয়ানি থেকে চাউমিন, সবের সঙ্গেই আড়ি করেছেন? তাই বলে কি মাঝেমধ্যে একটু ভালমন্দও খেতে নেই! ‘চিট মিল’-এর কথা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে অনেকের। নিয়মিত পরিমিত, পুষ্টিকর খাবার সময় ধরে খেতে খেতে স্বাদ বদল করতে ইচ্ছা হয় বৈকি। কিন্তু পিৎজা, বার্গার, লুচি, পাঠার মাংস কি জীবন থেকে বাদ দেওয়া যায়? পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়েট রুটিনের মাঝে কখনও কখনও এগুলি খেতেই পারেন। তবে একটু বুদ্ধি করে। আর মাথায় রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়।

ডায়েটের শুরুতেই ‘চিট মিল’-এ না বলুন

চিট মিল কিন্তু সকলের জন্য নয়। আপনি যদি সদ্য শরীরচর্চা শুরু করেন কিংবা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নয়া ডায়েট প্ল্যান চালু করেন, তা হলে অন্তত ডায়েট শুরু করার ৩০ দিনের মধ্যে চিট মিল না খাওয়াই ভাল। শরীরে যত বেশি মেদ থাকবে, গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ততই বাড়বে। আর যদি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণেই আপনি মোটা হয়ে থাকেন, তা হলে চিট মিল অল্প খেয়ে কখনও থামতে পারবেন না। সেটা আপনার অভ্যাস নয়। তাই ডায়েটের পুরো প্রচেষ্টাই বৃথা হবে।

চিট নয়, রি-ফিডিং মিল

অনেক সময়ে চিট মিল অনেক ক্ষণ ধরে খাই আমরা। বিশেষ করে পানীয়ের সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে রি-ফিডিং মিল বেছে নিন। এই ধরনের খাবারে প্রয়োজনীয় কাবোহাইড্রেট থাকে যা গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হতে দেয় না। চিট মিলের উপাদান যা কিছু হতে পারে, কিন্তু রি-ফিডিং মিলের উপাদান উপকারী কার্বোহাইড্রেট। তাই এর পর থেকে চিট মিল খাওয়ার কথা ভাবলে এমন কোনও রেস্তরাঁয় যান যেখানে মুরগির মাংস, মাছ, ভাত পাবেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন