Cough Syrup

‘কোনও কাজ হয় না, শিশুদের খাওয়ানোর কোনও মানে নেই’, কাশির সিরাপ বিতর্কে দাবি শিশু চিকিৎসকের

কাশির ওষুধের সঙ্গে শিশুমৃত্যুর যোগ নিয়ে চমকে উঠেছেন বহু অভিভাবকই। সন্তানের সামান্য কাশি হলেই ‘কাফ সিরাপ’ কিনে আনেন বহু বাবা-মা। কতটা যুক্তিযুক্ত এই প্রবণতা, জানালেন চিকিৎসক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৬:২১
Share:

কাশির ওষুধে আদৌ কাজ হয়? প্রতীকী ছবি

ভারতের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি চারটি কাশির ওষুধের সঙ্গে যোগ রয়েছে আফ্রিকার দেশ গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনার। গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। শুরু হয়েছে তদন্তও। কাশির সিরাপের মতো বহুল প্রচলিত ওষুধের ক্ষেত্রে এ হেন ঘটনায় চমকে উঠেছেন অনেক মা-বাবাই। বহু ক্ষেত্রেই সন্তানের সামান্য কাশি হলেই ‘কাফ সিরাপ’ কিনে আনেন বাবা-মা। কতটা যুক্তিযুক্ত এই প্রবণতা?

Advertisement

এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে শিশু চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ সাফ বললেন, “এই ধরনের কাশির ওষুধে কোনও কাজ হয় না।” হাঁপানি টানের কাশি কমাতে তবুও ক্ষেত্রবিশেষে কাশির সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ কাশি কমানোর ক্ষেত্রে আদৌ কার্যকর নয় এই ধরনের সিরাপ।’’ কোনও উন্নত দেশে এই ধরনের কাফ সিরাপ দেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি।

তবে কেন এত বাড়বাড়ন্ত এই ধরনের ওষুধের? চিকিৎসক জানান, আমাদের দেশে এই ওষুধের বড় বাজার রয়েছে। সেই কারণেই এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার চল। তাঁর মতে, বিষয়টির সঙ্গে অনেকটাই জড়িয়ে আছে বাজার অর্থনীতি। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ওষুধ খাওয়ানোর চূড়ান্ত বিরোধী তিনি। একটি উদাহরণ দিয়ে চিকিৎসক বলেন, “ধরুন কারও গলায় কোনও খাদ্যকণা আটকে গিয়ে কাশি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এক বোতল কাশির সিরাপ খেলেও কাশি কমবে না। ওষুধ তো আর বুঝতে পারে না, কী কারণে কাশি হচ্ছে। তার কাজ কাশি কমানো। যদি কাশির সিরাপে সত্যিই কাজ হত, তবে ওই কাশিও কমে যাওয়ার কথা ছিল।”

Advertisement

অনেক সময়েই বাবা-মা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সন্তানকে এই ধরনের কাশির সিরাপ খাইয়ে দেন। না বুঝে ওষুধ খাওয়ালে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তবে বিষয়টি ঠিক না হলেও বাস্তবতার নিরিখে এখনই এই প্রবণতা বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটাও ভাবা ঠিক নয় বলে মত চিকিৎসকের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন