Hibiscus Tea Health Benefits

তিরিশের আগেই মুখে বয়সের ছাপ পড়ছে? চায়ে বদল আনলেই ফিরে পাবেন যৌবনের জেল্লা

ইদানীং ‘ফ্লেভারড টি’-র রমরমা বেড়েছে। শুধু যে স্বাদ কিংবা গন্ধের জন্য এই চা পান করা হয়, তা কিন্তু নয়। এই সব চায়ের নানা রকম ঔষধি গুণ রয়েছে। জেনে নিন, সাধারণ লিকার চায়ের বদলে জবাফুলের চা খেলে কী কী বদল আসতে পারে শরীরে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৮
Share:

যৌবন ধরে রাখতে হলে চায়ে বদল আনুন। ছবি: সংগৃহীত।

সাধারণ চায়ের বদলে অনেকেই ইদানীং ‘ফ্লেভারড টি’-র দিকে ঝুঁকছেন। চা পাতার সঙ্গে ক্যামোমাইল, জুঁই, অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে, ব্লেন্ড করে তৈরি হয় সেই সব বিশেষ পানীয়। এখন সেই তালিকায় যোগ হয়েছে জবাফুলও। শুধু যে স্বাদ কিংবা গন্ধের জন্য এই ফুলগুলি ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয়। এই সব চায়ের নানা রকম ঔষধি গুণ রয়েছে। জেনে নিন, সাধারণ লিকার চায়ের বদলে জবাফুলের চা খেলে কী কী বদল আসতে পারে শরীরে।

Advertisement

১) ওজন কমায়: ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেও জবাফুলের চা কাজে লাগতে পারে। বিপাকহারের মান ভাল করতে পারে জবাফুলের মধ্যে থাকা যৌগগুলি। বিপাকহার ভাল হলে ওজন তো কমেই, পাশাপাশি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে তা-ও নিয়ন্ত্রণ করে জবাফুলের পাপড়ি দিয়ে বানানো চা।

২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন? চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ যেমন খাচ্ছেন, তার সঙ্গে খেতে শুরু করুন জবাফুলের চা। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই চা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উদ্বেগ, ‘হাইপার টেনশন’-এর সমস্যা।

Advertisement

৩) মূত্রনালির সংক্রমণ রোধ করে: বর্ষাকালে এই সমস্যা বাড়ে। এক বার এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে সহজে রেহাই পাওয়া যায় না। মূত্রনালির সংক্রমণ কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু বার বার নানা কারণে এই জাতীয় ওষুধ খাওয়াও ভাল নয়। তাই মূত্রনালির সংক্রমণ যদি খুব মারাত্মক আকার ধারণ করতে না পারে, সে ক্ষেত্রে জবাফুলের চা খেয়ে দেখতে পারেন। জবাফুলের ডাইইউরেটিক গুণ রয়েছে। অর্থাৎ, জবাফুলের চা খেলে কিন্তু আপনার শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। এক কথায়, শরীর ডিটক্স করতেও সাহায্য করে এই চা।

জবাফুলের ডাইইউরেটিক গুণ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

৪) রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে: গবেষণায় বলা হয়েছে, জবাফুলে রয়েছে অলিফেনল্‌স এবং অরগ্যানিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই কথা মাথায় রেখে পুষ্টিবিদেরাও ইদানীং জবাফুলের চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৫) তারুণ্য ধরে রাখে: জবাফুলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি। এই দুই উপাদান আপনার ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে, ত্বকে জেল্লা আসে দেখার মতো। মুখের দাগছোপও মিলিয়ে যায়। বোটক্স ট্রিটমেন্টের পরিবর্তে এই প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন।

কী ভাবে খাবেন?

অনলাইনে খোঁজ করলেই বিভিন্ন সংস্থার হিবিসকাস টি (জবাফুলের চা) পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া হিবিসকাস পাউডারও পাওয়া যায় বাজারে। জলে গুলে এই পাউডার দিয়ে ডিটক্স ড্রিঙ্কও বানিয়ে নিতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement