Yoga for Joint Pain

৫ আসন: নিয়মিত অভ্যাস করলে হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকি লাগবে না, অস্থিসন্ধির ব্যথা বশে থাকবে

ঠান্ডার সময়ে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। সে কারণে বিভিন্ন অঙ্গের পেশিগুলির নমনীয়তা নষ্ট হয়। তাই ব্যথার পরিমাণ বাড়তে থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:২৬
Share:

অস্থিসন্ধির ব্যথায় কাবু? ছবি: সংগৃহীত।

ঠান্ডা বাড়লে নানা রকম রোগের দাপট বাড়ে। সঙ্গে বাড়ে ব্যথার দৌরাত্ম্য। তার জন্য যে সব সময়ে বয়স দায়ী, তা কিন্তু নয়। ঠান্ডার সময়ে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। সে কারণে বিভিন্ন অঙ্গের পেশিগুলির নমনীয়তা নষ্ট হয়। তাই ব্যথার পরিমাণ বাড়তে থাকে। তা ছাড়া, শীতকালে রক্তে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণও হ্রাস পায়। ফলে, ব্যথার মাত্রাও লাগামছাড়া হয়ে পড়ে। তবে নিয়মিত কিছু আসন অভ্যাস করলে কিন্তু এই ধরনের ব্যথা বশে থাকে। অস্থিসন্ধির নমনীয়তাও বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

কোন কোন আসনে ব্যথা বশে থাকবে?

১) পশ্চিমোত্তনাসন

Advertisement

সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। দুটো হাত গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন, শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে দুটো হাত সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দুটো নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।

২) অধোমুখ শবাসন

প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন। তার পর মাটি থেকে কোমর উঁচু করে তুলে ধরুন। পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে রাখুন। মাটির সঙ্গে দেহের অবস্থান এমন ভাবে থাকবে, যেন দেখতে ত্রিভুজের মতো লাগে।

৩) মার্জারাসন

এই আসন দেহের গঠনে ভারসাম্য রক্ষা করে। কাঁধের ব্যথা নিরাময়েও এই আসন বিশেষ ভাবে উপকারী। প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। এর পর, এক বার পিঠ ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট।

সেতু বন্ধনাসন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) সেতু বন্ধনাসন

প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দুটো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।

৫) বালাসন

সবচেয়ে আরামদায়ক একটি যোগাসন। এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দু’টি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement