প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হতে পারে। সার্বিক ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সুষম আহারের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অন্যথায় নিয়মিত ওষুধ খেতে হতে পারে। তবে সকালে কয়েকটি সহজ অভ্যাসে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা জব্দ হতে পারে।
১) সকালে খালি পেটে গরম জলে একটি পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করলে হজমের সুবিধা হবে। তার ফলে দেহ থেকে ইউরিক অ্যাসিডও বেশি পরিমাণে নির্গত হবে। লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড থেকে সৃষ্ট বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২) দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে জলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই সকালে খালি পেটে দু’থেকে তিন গ্লাস জল খাওয়া উচিত। এতে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও অনেকটা কমে যায়। প্রতি দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড থেকে পাথর তৈরির সম্ভাবনা কমে যায়।
৩) প্রতি দিনের ডায়েটে পিউরিনের মাত্রা বেশি থাকলে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথাও বাড়তে পারে। তাই পিউরিন আছে এ রকম খাবার, যেমন পাঁঠার মাংস এবং সামুদ্রিক মাছ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। ওট্স, ফল, দই এবং দানাশস্য ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আবার ডায়েটে ফাইবারে পরিপূর্ণ খাবার পেশি থাকলে তা হজমে সাহায্য করে। ফলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকালে খালি পেটে চা-কফি পান করা উচিত নয়। কারণ এই পানীয়গুলি দেহে জলশূন্যতা তৈরি করে কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। তার ফলে দেহ থেকে প্রয়োজনীয় ইউরিক অ্যাসিড বাইরে আসতে পারে না এবং ব্যথা বাড়তে থাকে।
৫) ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে উপকার পাওয়া যায়। তার জন্য সকালে খালি পেটে অল্প পরিমাণে যোগাভ্যাস বা শরীরচর্চা করা যেতে পারে। তবে শরীরচর্চা অতিরিক্ত করলে দেহে ল্যাকটিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা পরোক্ষে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করে।