থাইরয়েডের সমস্যায় কী খাবার খাওয়া উচিত? ছবি: সংগৃহীত।
অতীব ছোট এক গ্রন্থি। কিন্তু ক্ষমতাশালী। থাইরয়েড থেকে বেরোনো হরমোন মেজাজ, শারীরিক শক্তি, সব কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। এই গ্রন্থির যদি ঠিক মতো কাজ না করে, তা হলে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেবে, মেজাজ খারাপ হবে, এমনকি ওজনে হেরফের দেখা যাবে। সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, রক্তপরীক্ষা করানোর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া নিয়েও সতর্ক হতে হবে। কিছু দৈনন্দিন ভারতীয় খাবার থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।
আয়োডিনযুক্ত লবণ
হেঁশেলের এই উপাদান থাইরয়েডের জন্য উপকারী। থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য আয়োডিন একটি মূল পুষ্টি উপাদান। রোজের রান্নায় এক চিমটে লবণ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, আয়োডিনযুক্ত লবণ স্বাস্থ্যরক্ষার একটি কার্যকর ও নিরাপদ উপায়। থাইরয়েড হরমোনের সঠিক উৎপাদনে সাহায্য করে তা। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন গ্রহণ করলে গলগণ্ড, বোধবুদ্ধির বিকাশজনিত সমস্যা, এবং হাইপোথাইরয়েডিজ়ম প্রতিরোধে কার্যকরী। তবে অতিরিক্ত আয়োডিনও ক্ষতিকারক হতে পারে, তাই পরিমিতি বোধ থাকা দরকার। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ হু-এর।
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন গ্রহণ করলে নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সজনে
সজনে ডাঁটায় প্রচুর পরিমাণে জ়িঙ্ক এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। শরীরে প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। ডাঁটা ছাড়াও সজনে পাতা এবং ফুলও খুব উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই সব্জি সুপারিশ করা হয়। এটি মৃদু ভাবে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং পুষ্টির শোষণ উন্নত করে।
নারকেল
কোরানো হোক বা তেল, যে কোনও রূপেই নারকেল থাইরয়েডের জন্য উপকারী। এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শক্তিও বাড়ায়। থাইরয়েডের গ্রন্থি যদি অচল হয়ে পড়ে, তার জন্য ভার্জিন অয়েল খুব ভাল। কারণ এতে বিপাক হার উন্নত হয় এবং ক্লান্তি কমে, যেগুলি থাইরয়েডের সমস্যায় বেশি দেখা যায়।