কোন সময়ে জিরে ভেজানো জল খেলে অম্বল কমবে? ছবি: ফ্রিপিক।
সকালে খালি পেটে জিরে বা মেথি-মৌরি ভেজানো জল খাওয়ারই নিদান দেওয়া হয়। খালি পেটে জিরে ভেজানো জল খেলে ওজন কমে এবং পেটও ঠান্ডা থাকে। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, সকালে বা রাতে নয়, জিরে ভেজানো জল খেতে হবে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে। তা হলেই গ্যাস-অম্বল, পেট ফাঁপার সমস্যা দূর হবে। সারবে বহু দিনের লিভারের রোগও।
ঠিক কখন খেতে হবে জিরের জল?
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফার্মা অ্যান্ড বায়োসায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত একটি গবেণাপত্রে লেখা হয়েছে, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সে কষ্ট পেলে সকালে নয়, জিরে ভেজানো জল খেতে হবে ঠিক বিকেল ৪টের সময়, দুপুরে খাওয়ার পর ও সন্ধ্যার জলখাবারের আগে। ওই সময়েই বিপাক ক্রিয়ার হার অনেক কমে যায়। দুপুরে ভারী কিছু খেলে তা হজম হতেও সময় লাগে। তাই ওই সময়টাতে জিরে ভেজানো জল খেলে হজমপ্রক্রিয়া দ্রুত হয়। পেট ভার বা পেট ফাঁপার সমস্যাও কমে। পাশাপাশি অম্বল, গলা-বুক জ্বালার কষ্ট কমে।
জিরে বীজে ভিটামিন এ, ই, বি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা ‘টক্সিন’ দূর করতে পারে। পাকস্থলীর অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে জিরে। তাই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা উপশমে জিরে ভেজানো জল বিকেলে খেলে উপকার বেশি হবে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জিরে ভেজানো জল খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস)-এর কারণে পেট ফোলা, পেটে ব্যথার সমস্যা কমতে পারে। এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট থেকেও উপশম মিলতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে বিপাকহারও ভাল হওয়া প্রয়োজন। তার জন্যও জিরে ভেজানো জল উপকারে আসতে পারে। পুজোর আগে যাঁরা ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হতে চান, তাঁরা ওই বিকেলের সময়েই রোজ এক গ্লাস করে জিরে ভেজানো জল খেয়ে দেখতে পারেন। তবে শরীরের অন্য সমস্যা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।