— প্রতীকী চিত্র।
বর্ষা আসতে বিশেষ দেরি নেই। বর্ষাকালে সাবধান না হলে, নানা রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এই সময় এক দিকে যেমন ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বা়ড়ে জলবাহিত বিভিন্ন রোগ। তাই এখন থেকেই তৈরি থাকা উচিত।
বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সতর্ক থাকতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিকের উপর আলোকপাত করলেন।
খাওয়াদাওয়া
১) সুস্থ থাকতে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। টাটকা সব্জি এবং ফল তার মধ্যে অন্যতম।
২) বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত। পাশাপাশি, স্যুপ জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়ালে তা শরীরে প্রয়োজনীয় জলের অভাব দূর করবে।
৩) কাঁচা হলুদ, তুলসীপাতা এবং আদার মধ্যে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। বর্ষার আগে তাই এই জিনিসগুলি দিয়ে তৈরি চা পান করা যেতে পারে।
৪) বছরের এই সময়ে খাবারের সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি বা আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি থাকবে না। ফলে অনেকাংশে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
রোগের প্রাদুর্ভাব
১) বর্ষাকালে সর্দি, কাশি এবং জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। বাতাসে ঘুরতে থাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এ রকম ক্ষেত্রে আক্রান্তদের থেকে দূরে থাকা উচিত। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) বর্ষাকালে খুব গরম বা খুব ঠান্ডা জায়গার মধ্যে স্থান পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেকেই সর্দি বা জ্বরে আক্রান্ত হন। তাই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যুক্ত ঘরে থাকা উচিত।
৩) শিশুরা এবং বয়স্কদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই বর্ষাকালে বাড়ির বাইরে পা রাখলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে অনেক রোগকে দূরে রাখা সম্ভব।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
১) বর্ষাকালে জলবাহিত রোগের (যেমন চুলকানি ইত্যাদি) আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত বাড়িতে ফিরে ভাল করে হাত মুখ ধুয়ে নিতে হবে। বাড়ির বাইরে কাজের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজ়ার এবং পেপার ন্যাপকিন ব্যহার করা উচিত।
২) বাড়ি এবং আশপাশে জমা জল দেখলে (গাছের টব, কোনও পাত্র ইত্যাদি) সাবধান হওয়া উচিত। অল্প বৃষ্টি এবং রোদ— এ রকম আবহাওয়ার জমা জলে মশা ডিম পাড়ে। তাই বাড়িতে জল জমলেও তা যেন তিন দিন অন্তর পাল্টে দেওয়া হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
৩) এই সময়ে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে দিনের বেলায় পুরো হাতা পোশাক এবং ট্রাউজ়ার পরা উচিত। বিকেলের পর থেকে বাড়ির দরজা এবং জানালাও বন্ধ রাখা উচিত। বাড়িতে বাগান বা গাছ থাকলে, তা কেটে যথাসম্ভব ছোট করে দেওয়া উচিত।