প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ফিট থাকতে বা ওজন কমাতে অনেকেই নিয়মিত ডায়েট করেন। এখন দৈনিক ক্যালোরি মাপার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ বেরিয়েছে। কোনওটির মধ্যে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। কোনও অ্যাপে আবার খাবারের ছবি তুললেই, তা থেকে পুষ্টিগুণ জানা সম্ভব। কিন্তু এই সমস্ত অ্যাপ কতটা নির্ভরশীল? তারা কি ক্যালোরির ব্যাপারে সঠিক তথ্য প্রদান করে?
ক্যালোরি মাপার সুবিধা
দৈনন্দিন ক্যালোরি মেপে খাবার খেলে, সার্বিক ভাবে ডায়েট সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। দিনে ব্যক্তি প্রয়োজনের থেকে খম খাবার খাচ্ছেন, না কি বেশি খাবার খাচ্ছেন, তা ক্যালোরি মাপার ফলে জানা সম্ভব।
কোন অ্যাপ সুরক্ষিত
পুষ্টিবিদদের মতে, কোম্পানি ভেদে অনেক সময়ে এই সমস্ত অ্যাপে তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। দীর্ঘ দিন তা শনাক্ত করতে না পারলে নানা অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বিশ্বাসযোগ্য কোনও অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত। বিভিন্ন ফুড ট্র্যাকিং অ্যাপের ডেটাবেস আলাদা হয়ে থাকে। গুগ্ল প্লেস্টোর বা আইওএস-এ ক্যালোরি ট্র্যাক করার জন্য কয়েক হাজার অ্যাপ পাওয়া যায়। তাই কে সঠিক তথ্য প্রদান করছে, তা জানা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অ্যাপটির রিভিউ কাজে আসতে পারে। পাশাপাশি, ইউটিউবে ব্যাবহারকারীদের রিভিউ দেখে নিলে, অ্যাপটি সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হতে পারে।
ওজনের প্রয়োজনীয়তা
ছবি বা এআই-এর অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোনও খাবারের পুষ্টিগুণ জানতে পারলে, পরিশ্রম অনেকটাই কমে। কিন্তু দেখা যাবে, এই ভাবে একই খাবার থেকে দু’বার পাওয়া তথ্যের মধ্যে অল্প পার্থক্য থাকতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে বাড়িতে ইলেক্ট্রনিক স্কেল (ছোট দাঁড়িপাল্লা) ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে খাবারের পরিমাপ অ্যাপে লিখে রাখলে, তার পুষ্টিগুণের বিশদ জানা সম্ভব।
সাবধানতা
খেয়াল রাখা উচিত, ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া অনেক সময়ে মানসিক অবসাদের কারণ হতে পারে। যার ফলে খাবার প্রসঙ্গে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যেতে পারে। সুস্থ শরীরের নেপথ্যে শুধু ক্যালোরি নয়— শরীচর্চা, ঘুম, সুষম আহার, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলিও দায়ী।