healthy morning habits

ভোর ৫টায়, না কি সকাল ৭টায়, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে কখন ঘুম থেকে ওঠা উচিত?

সকালে ঘুম থেকে ওঠার একাধিক উপকার রয়েছে। কিন্তু খুব ভোরে না উঠে বেলায় ঘুম ভাঙলে কি স্নায়ুর উপর কোনও চাপ তৈরি হতে পারে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

সুস্থ থাকার জন্য ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বিভিন্ন শাস্ত্রেও একই কথার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ঘুম থেকে কেউ ভোর ৫টায় উঠতে পারেন। আবার কারও হয়তো সকাল ৭টায় ঘুম ভাঙে। কোন সময়ে ঘুম থেকে এঠা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?

Advertisement

৫টায় ঘুম ভাঙা

দৈনিক কাজকর্মের সঙ্গে দেহের স্নায়ুতন্ত্র সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তাই কেউ যদি ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে শুরু করেন, কয়েক দিন পর দেখা যাবে অ্যালার্ম ছাড়াই তাঁর ঘুম ভেঙেছে। সময়ের সঙ্গে তখন সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট অনুভূত হবে না।

Advertisement

ভোরে তন্দ্রাভাব থাকে বেশি। তাই ঘুম ভাঙে সহজে। তার ফলে শরীর ফুরফুরে থাকে। ভোরে পরিবেশ শান্ত থাকে। যার ফলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস উপকারী।

৭টায় ঘুম ভাঙা

অন্য দিকে মনে রাখতে হবে, সকাল ৭টায় চারপাশে শব্দ বৃদ্ধি পায়। ৫টার তুলনায় ৭টার সময়ে ঘুম থেকে উঠছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও হয়তো বেশি। কারণ, ব্যস্ত জীবনে সারা দিনের কাজ সেরে অনেকেই রাত করে ঘুমোতে যান। ফলে তাঁরা ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে চারপাশের শব্দ এবং কোলাহল স্নায়ুতন্ত্রের উপরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। অনেকেই তখন দৈনিক কাজের লক্ষ্যপূরণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

ব্যতিক্রম

ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ভাল। তবে চিকিৎসকদের দাবি, কে কখন ঘুম থেকে উঠছেন, তা তাঁর স্নায়ুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব না-ও ফেলতে পারে। কারণ, যদি নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো যায়, তা হলে শরীর নতুন করে নিজের প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে নেয়। এ বার কেউ যদি দেরিতে ঘুমোতে যান এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন এবং সেই অভ্যাস যদি তাঁর স্বাভাবিক জীবননযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে যায়, তা হলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement