ওজন কমাতে খাদ্যতালিকায় বদল এনে লাভের বদলে ক্ষতি করে ফেলছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত।
মেদ ঝরিয়ে সুন্দর হয়ে উঠতেই হবে। লক্ষ্য পূরণে খাবার তালিকায় বদলে ফেলেছেন। প্রাতরাশ থেকে সান্ধ্য স্ন্যাক্স— সবেতেই থাকছে স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে স্বাস্থ্যকর সেই খাবার আদতে স্বাস্থ্যকর কি না, জানেন কি?
প্রোটিন বার: তাড়াহুড়োয় খালিপেটে বেরোনোর চেয়ে প্রোটিন বার খেয়ে নেওয়া ভাল— মনে করেন অনেকেই।নানা ধরনের বাদাম, বীজ দিয়ে তৈরি প্রোটিন বার দোকানে বিক্রি হয়। চিকিৎসক, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ধরনের প্রোটিন বারেও শর্করা থাকে। তার গুণমান, তৈরির পদ্ধতিও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। নিম্ন মানের মধু, সিন্থেটিক উপাদান সরবিটল, মাল্টিটল মেশানো থাকলে, এটি খেলে হিতে বিপরীত হবে। এই ধরনের উপাদান পাকস্থলী এবং অন্ত্রের দেওয়ালের ক্ষতি করতে পারে। যা থেকে প্রদাহ,ডায়েরিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। বাজারচলতি প্রোটিন বারের বদলে চিকিৎসকেরা চিনেবাদাম, কাজু কিংবা কাঠবাদাম, বীজ, ডিম খেতে বলছেন।
ইয়োগার্ট এবং দুধ: অনেকেই পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে ইয়োগার্ট খান। চিকিৎসকেরা সাবধান করছেন ফ্লেভার বা গন্ধযুক্ত এই ধরনের ইয়োগার্ট এড়িয়ে চলার। স্বাদ বৃদ্ধি হলেও, এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া অনেকেই গরুর দুধ না খেয়ে সয়ামিল্ক, আমন্ড মিল্ক বা ওয়ালনাট মিল্ক খাচ্ছেন। বাজারে নানা ধরনের কৃত্রিম স্বাদ এবং গন্ধযুক্ত উদ্ভিজ্জ দুধ পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন দুধে চিনি থাকে এবং কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধ বর্ধক উপাদান যোগ করা হয়, যা নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। বদলে ঘরে পাতা টক দই খাওয়া ভাল। দুধও কাঠবাদাম বেটে বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
সিরিয়াল: ওজন কমাতে অনেকেই নানা ধরনের বাজারচলতি সিরিয়াল খান। মুজ়লি-সহ বিভিন্ন সিরিয়ালে অনেক সময় কৃত্রিম মিষ্টত্ব যোগ করা হয়, যা ওজন কমানোর পথে প্রতিবন্ধক। বাজারচলতি সিরিয়াল বা শস্যজাতীয় খাবারের বদলে ওট্স বেছে নিতে পারেন।