জিমে অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরচর্চার ফলে ক্ষতির আশঙ্কা বৃ্দ্ধি পায়। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে শরীরচর্চা নিয়ে নানা মতামত লক্ষ করা যায়। নানা মত এবং দাবিকে অনেকেই অন্ধভাবে অনুকরণ করেন। কিন্তু কার কতটা বা কী ধরনের শরীরচর্চা করা উচিত, তা ঠিক করে দেন প্রশিক্ষক। নিজে নিজে সমাজমাধ্যমের ভিডিয়ো দেখে শরীরচর্চার ফলে ক্ষতির আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে।
কী কী সমস্যা
কেউ যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত শরীরচর্চা করেন, তা হলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তারই সঙ্গে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে। তার ফলে অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। যাঁরা জিমে নতুন,তাঁদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে বেশি শরীরচর্চার ফলে দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটতে পারে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।
অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে পেশি ছিঁড়ে যেতে পারে। পেশিতে প্রদাহ তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে কাঁধ, হাঁটু, কনুইয়ে চোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়। আবার অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে অস্থিসন্ধির ক্ষতি হতে পারে। হাড়ের কোষ নির্দিষ্ট ব্যবধানে পরিবর্তিত হতে থাকে, যা অস্থির শক্তি বৃদ্ধি করে। কিন্তু ব্যায়ামের পর দেহ যদি বিশ্রাম না পায়, তা হলে এই পদ্ধতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে অস্টিয়োপোরোসিসও হতে পারে।
চোট দূরে রাখতে
১) অন্ধের মতো শরীরচর্চা না করে কোনও প্রশিক্ষকের থেকে ফিটনেস চার্ট তৈরি করে নেওয়া উচিত। সেখানে ‘ওয়ার্মআপ’ সহ ‘কুলডাউন’-এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম থাকে। ব্যস্ত জীবনে দিনে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা যেতে পারে।
২) অনেক সময়ে দুর্বল ভঙ্গি এবং কৌশলের অজ্ঞানতার কারণে জিমে ব্যক্তি চোট পেয়ে থাকেন। তাই কোনও ব্যায়াম রুটিনে রাখার আগে তার কৌশল ভাল করে জেনে নেওয়া উচিত। ব্যায়ামের জন্য প্রথমে হালকা ওজন এবং তার পর সময়ের সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি করা উচিত।
৩) পর্যাপ্ত বিশ্রামের ফলে চোট-আঘাত থেকে দূরে থাকা সম্ভব। সপ্তাহে এক দিন যেন বিশ্রাম নেওয়া হয়। তা ছাড়া শরীর খারাপ থাকলে বা শরীরে না পোষালে জিমে যাওয়া উচিত নয়। মনে রাখা উচিত, জোর করে শরীরচর্চা করলে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পায়।