খেয়েই কমান কোলেস্টেরল! ছবি : সংগৃহীত।
বাইরের ভাজাভুজি, তেলমশলাযুক্ত খাবার ইদানীং জীবন থেকে সহজে ছেঁটে ফেলা যায় না। এ দিকে ওই সমস্ত খাবার যত বেশি খাওয়া হতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির আশঙ্কা। কোলেস্টেরল বা আরও বিশদে বললে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল যত বাড়ে, ততই বাড়তে থাকে হার্টের রোগের ঝুঁকি। রোগীকে নিরাপদে রাখতে তাই ডাক্তারবাবুরা তড়িঘড়ি চালু করে দেন কোলেস্টেরলের ওষুধ, যা একবার খাওয়া শুরু করলে সাধারণত আর বন্ধ করা যায় না। আজীবনের ওষুধ শুরু করার আগে তাই এক বার খাওয়াদাওয়ায় বদল এনে কোলেস্টেরল কমানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
ওষুধ যা পারে, তা কি খাবার পারবে? পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেই কোলেস্টেরল কমানো যেতে পারে, যদি শরীরের অন্য কোনও জটিল সমস্যা না থাকে। তবে এ ব্যাপারে শুরুতেই সাবধান হওয়া জরুরি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেক সময় জিনঘটিতও হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বাড়ির কারও হার্টের রোগ বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া জরুরি। আর যদি পরীক্ষায় দেখা যায় এলডিএলের মাত্রা উর্ধ্বমুখী তবে দেরি না করে খাওয়াদাওয়ায় বদল এনে গোড়াতেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এমনটাই বলতে চেয়েছেন পুষ্টিবিদ।
কী খাওয়া বন্ধ করতে হবে তা অল্প বিস্তর অনেকেই জানেন। কিন্তু কী খেলে কোলেস্টেরল আরও দ্রুত কমবে তা জানিয়েছেন শ্রেয়া। তিনি বলছেন, ‘‘কিছু খাবার আছে যা অন্ত্র থেকে কোলেস্টেরল টেনে নেয় এবং তার পরে বর্জ্য হিসাবে শরীর থেকে বার করে দেয়। আবার কিছু খাবার আছে যা খাবার থেকে শরীরে কোলেস্টেরল যাওয়ার যে পদ্ধতি তা আটকে দেয়। শরীরে এলডিএলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে কিছু খাবার। সেই সমস্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।’’
কী কী খাবার রাখবেন খাদ্যতালিকায়?
১। তৈলাক্ত মাছ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদাম, পেস্তা বাদাম (তেলে ভাজা এবং নুন দেওয়া হলে খাওয়া যাবে না), সয়াবিন থেকে তৈরি খাবার, সবুজ শাক-সব্জি, ফলমূল ইত্যাদি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২। ব্রোকোলি, মেথি, পালংশাক খাবার থেকে রক্তে দ্রুত কোলেস্টেরল মিশে যেতে দেয় না।
৩। মুসুর ডাল, কাবলি ছোলা, রাজমাতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের কোলেস্টেরল শোষণ করে নেয় এবং বর্জ্য হিসাবে শরীর থেকে বের করে দেয়।
৪। তিসির বীজ এবং চিয়াবীজ সাহায্য করে ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে যা হার্টের রোগ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যাবৃদ্ধির কারণ হতে পারে।