Pasasana Benefits

ঘাড়, কাঁধ, পিঠের ব্যথায় নাজেহাল! নিয়মিত পাশাসন অভ্যাসে আরাম মিলবে

সংস্কৃত শব্দ ‘পাশ’ শব্দের অর্থ ‘গ্রন্থিবন্ধন’ বা ‘গিঁট’। আবার, ক্ষেত্রবিশেষে কোনও কিছু বেষ্টন করে থাকা বা জড়িয়ে থাকাকেও ‘পাশ’ বলা চলে। অর্থাৎ, এই আসন অভ্যাস করার সময়ে দেহের ভঙ্গি এমন হবে, যেন দেখে মনে হয় শরীরটা কোনও কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে বা পেঁচিয়ে রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫ ১০:১০
Share:

কী ভাবে করবেন পাশাসন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।

সারা দিন ল্যাপটপের সামনে ঘাড় গুঁজে কাজ। দ্রুত কাজ শেষ করার চাপে মাথা তোলার ফুরসত থাকে না। একটানা কাজ করলে ঘাড়-কাঁধে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। দিনের শুরুতে ব্যথার তীব্রতা তেমন বোঝা যায় না। কিন্তু বিকেল-সন্ধ্যার দিকে তা সহ্যের সীমা ছাড়াতে শুরু করে। কাঁধের পেশি এমন শক্ত হয়ে যায় যে, নাড়াচাড়া করার উপায় থাকে না। ব্যথা কমানোর মলম, স্প্রে ব্যবহারে সাময়িক আরাম হলেও লাভ খুব একটা হয় না। শেষে চিকিৎসকের পরামর্শমতো অনেকেই হয়তো ফিজ়িয়োথেরাপির সাহায্য নেন। তবে যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা নিরাময়ে পাশাসন বিশেষ ভাবে উপকারী।

Advertisement

সংস্কৃত শব্দ ‘পাশ’ শব্দের অর্থ ‘গ্রন্থিবন্ধন’ বা ‘গিঁট’। আবার, ক্ষেত্রবিশেষে কোনও কিছু বেষ্টন করে থাকা বা জড়িয়ে থাকাকেও ‘পাশ’ বলা চলে। অর্থাৎ, এই আসন অভ্যাস করার সময়ে দেহের ভঙ্গি এমন হবে, যেন দেখে মনে হয় শরীরটা কোনও কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে বা পেঁচিয়ে রয়েছে। ইংরেজিতে এই পাশাসন ‘নুজ় পোজ়’, ‘রোপ পোজ়’ নামেও পরিচিত।

কী ভাবে করবেন?

Advertisement
  • প্রথমে ম্যাটের উপর হাঁটু মুড়ে, অর্থাৎ উবু হয়ে বসুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
  • এ বার বাঁ হাতের বাহুমূল নিয়ে যান ডান হাঁটুর কাছাকাছি। এমন ভাবে রাখুন, যেন হাতের সঙ্গে হাঁটু আটকে থাকে। বাঁ হাতের তালু ঘুরিয়ে নিয়ে যান কোমরের কাছে।
  • কোমর, তলপেট থেকে শরীরের উপরিভাগ মোচড় দিয়ে বাঁ দিকে ঘোরান। বাঁ হাতের গিঁট বা ফাঁসের মধ্যে দুই হাঁটু আটকে থাকবে। ডান হাতটি কোমরের পিছন দিয়ে ঘুরিয়ে বাঁ হাতের কাছে নিয়ে যান। দু’টি হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখতে পারলে ভাল হয়।
  • এই অবস্থান ধরে রাখার সময়ে মাটি থেকে গোড়ালি ধীরে ধীরে তুলতে চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পায়ের আঙুলের উপর গোটা শরীরের ভার রাখতে হবে। তবে ব্যালান্স রাখতে না পারলে এই পর্যায়টি বাদ দেওয়া যায়।
  • এই অবস্থানে থাকুন ৩০ সেকেন্ড। তার পর আবার প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন। শ্বাস নিয়ে একই ভাবে দেহের অন্য পাশে অভ্যাস করুন পাশাসন।

কেন করবেন?

শুধু ঘাড়-কাঁধ -পিঠ নয়, এই আসন অভ্যাসে সারা শরীরের পেশিই সক্রিয় হয়। মেরুদণ্ড নমনীয় রাখতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে এই পাশাসন। কোমর, ঊরু কিংবা হাঁটুর ব্যথায় আরাম মেলে। সায়াটিকার ব্যথায় কাজ দেয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে তা-ও সেরে যায়। গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে পাশাসন।

সতর্কতা:

তবে যাঁদের মেরুদণ্ডে কোনও রকম চোট বা আঘাত রয়েছে, তাঁরা এই আসন অভ্যাস করবেন না। সদ্য পেটে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলেও এই আসন অভ্যাস করতে যাবেন না। গোড়ালি, হাঁটু, কোমরে ব্যথা-বেদনা থাকলে আগে তা সারিয়ে নিন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন অভ্যাস করা নিষিদ্ধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement