কোন ৫ অভ্যাসের কারণে ওজন কমছে না, বদলে ফেলুন আজই। ছবি: ফ্রিপিক।
শরীরচর্চা রোজই করছেন, তা-ও ওজন কমছে না। ডায়েট করেও লাভ হচ্ছে না কিছু। ভুঁড়ি বেড়ে চলেছে দিন দিন। এর কারণ রোজের কিছু অভ্যাস নয় তো? মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রযোজ্য। সংসার ও পেশা সামলে নিজের দিকে তাকানোর ফুরসত পান না মহিলারা।ঘর আর বাইরে সামলাতে গিয়ে দু’হাতে দশভুজা হয়ে উঠতে হয়। সকলকে ভাল রাখার দায়িত্ব যাঁরা কাঁধে তুলে নেন, তাঁদেরও সুস্থ থাকা জরুরি। সব দিক সামলাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ায়। কখনও দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, আবার কখনও একবারে বেশি খেয়ে ফেলা বা জ়াঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাসের কারণে ওজন আরও বাড়তে থাকে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের নিয়ম মানতে হবে। রোজের কিছু অভ্যাস বদলে ফেললেন দ্রুত মেদ ঝরবে।
কোন কোন অভ্যাস বদলালেই ওজন কমবে?
কম প্রোটিন, বেশি শর্করা খাওয়ার অভ্যাস
ভাত বা রুটি সবই খান, সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডিম খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। নিরামিষ খেলে রোজের ডায়েটে ডাল, সয়াবিন, ছানা, পনির রাখা যেতে পারে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সকালের জলখাবারে ৩০ গ্রামের মতো প্রোটিন রাখতেই হবে। প্রাণিজ প্রোটিনের পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও খেতে হবে। সেই সঙ্গেই থাকবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। নানা রকম বাদাম-বীজ খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
ফাইবার কম খাওয়া
বেশির ভাগ মহিলারই ওজন বাড়ে কম ফাইবার খাওয়ার কারণে। ফাইবার কম খেলে মেদ জমবে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়বে। ফাইবার-যুক্ত খাবার খেলে হৃদ্রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকিও কমবে। ফাইবার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবারের জন্য দানাশস্য, ব্রোকোলি, ব্রাসলস স্প্রাউট, গাজর, কড়াইশুটির মতো সব্জি ও মরসুমি ফল খেতে হবে।
প্রাতরাশ বাদ দিচ্ছেন কি?
প্রাতরাশে সাধারণত দুধ, ফল, সিরিয়াল জাতীয় খাবার তো থাকেই। তাই এগুলো বাদ দিলে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার, অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি হতে থাকে। প্রাতরাশ বাদ দিলে যেমন পুষ্টির ঘাটতি হবে, তেমনই ওজনও বাড়তে থাকবে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে হজমপ্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যাবে। দেখা গিয়েছে, যাঁদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, তাঁরাই বেশি ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’-এ ভোগেন। এই সমস্যা হলে মেদ জমতে থাকবে শরীরে।
বিঞ্জ ইটিং
নাগাড়ে কাজের ফাঁকে মুখরোচক কিছু হলে মন্দ হয় না! মাত্রাজ্ঞান ছাড়িয়ে নাগাড়ে মুখ চলতেই থাকে, যাকে বলা হয় বিঞ্জ ইটিং। এই শব্দ দু’টির সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছে।চিপ্স, নাচোস, নরম পানীয়, চকোলেটের মতো হাই-ক্যালোরি জাঙ্ক ফুড এর তালিকায় পড়ে। অল্পেতে এই স্বাদ মেটে না। তাই খাওয়া হয়ে যায় অতিরিক্ত। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে লিভারের রোগও দেখা দেয়। বিঞ্জ ইটিংয়ের কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। বিঞ্জ ইটিং কমানোর জন্য ফুড অ্যাপ বেশি ঘাঁটলে চলবে না। জাঙ্ক ফুড স্টোর না করলেই ভাল। একদিন বিরিয়ানি খাওয়া হলে, পরের দিন খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।