৯০ বছরের সুষমা শেঠ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
স্বাস্থ্যসচেতনেরা ছুটে চলেছেন বয়সের কাঁটা উল্টো দিকে ঘোরানোর জন্য। আর তার জন্য ‘অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট’ থেকে শুরু করে কী না করে চলেছেন! অথচ সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রথার কথা বলছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুষমা শেঠ। নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন ৯০ বছর বয়সি সুষমা। শরীর ও মনে তিনি আজও তরুণ। অথচ জটিল কোনও পথ বেছে নেননি তিনি। সহজ, সরল, সাদামাঠা প্রথা মেনে নিজেকে সুস্থ রেখেছেন সুষমা।
ভোর ৪টে নাগাদ ঘুম থেকে ওঠেন সুষমা। সকাল শুরু হয় মনঃসংযোগের মাধ্যমে। তার পর যোগাসন ও প্রাণায়াম করেন ৯০ বছরের অভিনেত্রী। সারা দিন ধরে সক্রিয় থাকেন তিনি। নিজের কাজ নিজেই করেন। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে নিজের কাজকর্মের জন্য ধীরে ধীরে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু সুষমা ব্যতিক্রমী। নিজের কাজ নিজে করার ইচ্ছে ও শক্তি, দুই-ই রয়েছে তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘এই সমস্ত অভ্যাসে অভ্যস্ত হলে রোগ, অসুখবিসুখ দূরে পালাবে। শরীরে ক্লান্তিও থাকবে না।’’
এক সাক্ষা়ৎকারে পুষ্টিবিদ ঋজুতা দিবেকর দাবি করেছিলেন, ষাটোর্ধ্বদের জন্য শরীর সক্রিয় রাখা বাধ্যতামূলক। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। হাড়ে খনিজের ঘনত্ব বাড়ে এবং ভাঙন ধরার প্রবণতা কমে। খিদে বোধ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি ঘুমের মান উন্নত হয়। মানসিক স্বস্তি ও উদ্বেগ কমাতে তাই মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন ঋজুতা। শরীর সক্রিয় থাকলে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২-এর মতো পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরে ভাল ভাবে শোষিত হয়।
বিশেষ করে যোগাসনের প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদের বক্তব্য, এটি অত্যন্ত কার্যকরী যা অতিরিক্ত ক্লান্ত করবে না, শরীরে ব্যথা সৃষ্টি করবে না, আবার শরীরকে সচলও রাখবে। তাই সক্রিয় থাকার জন্য উৎসাহ দেওয়া দরকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের।