প্যাকেটজাত মশলাদার মাখানা কি স্বাস্থ্যকর? ছবি : সংগৃহীত।
বিকেলে মুখরোচক খাওয়ার ইচ্ছে মিটবে। অথচ তেলমশলাও খাওয়া হবে না। এমন খাবারের বিকল্প অল্পই। মাখানা সেই গুটিকতক বিকল্পের একটি।
মাখানা বা পদ্মের বীজের খই স্বাস্থ্যকর। আবার চাইলে তাকে সুস্বাদু বানিয়েও নেওয়া যায়। অল্প ঘি, শুকনো লঙ্কা, জিরে, গোলমরিচ ইত্যাদি মশলা দিয়ে সামান্য নেড়ে নিলেই তথাকথিত স্বাদহীন মাখানাও ভাল লাগে খেতে। তবে ইদানীং আর মাখানা কিনে মশলায় মাখানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। মশলাদার মাখানা প্যাকেটজাত করেই বিক্রি হচ্ছে দোকানে। বিকেলে মুখ চালানোর জলখাবার হিসাবে অনেকেই সেই মাখানা কিনে রেখে দিচ্ছেন। ইচ্ছেমতো খাচ্ছেনও। কিন্তু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভেবে যা খাচ্ছেন, তা কতটা ভাল?
কিছু দিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনি নিয়মিত মাখানা খান। তার কারণও রয়েছে। কারণ পদ্মের বীজের খইয়ে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, ম্যাগনেশিয়াম কম, তাই তা হার্টের জন্য ভাল। মাখানা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ। যা চোখের জন্যও ভাল। মাখানা কম ক্যালোরি যুক্ত। তাই তা খেলে ওজন কমাতেও সুবিধা হতে পারে। কিন্তু প্যাকেটজাত মাখানার ক্ষেত্রেও কি একই কথা বলা যায়?
পুষ্টিবিদ শ্রেয়া গোয়েল দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়োয় তিনি জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত মাখানাকে স্বাস্থ্যকর ভেবে খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
প্যাকেটজাত মাখানা খাওয়ার আগে খেয়াল করবেন
১। প্যাকেটজাত খাবারে সাধারণত উপকরণের নাম স্পষ্ট লেখা থাকে। তাই কেনার আগে উপকরণের তালিকা দেখে নিন। তাতে কী কী উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।
২। যদি দেখেন, মাখানা রোস্ট করার জন্য পাম অয়েল বা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা হয়েছে, তবে সেখানেই মাখানার উপকারিতা অর্ধেক কমে যাবে।
৩। নানা ধরনের স্বাদ এবং গন্ধের জন্য ফ্লেভারিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয় প্যাকেটজাত মাখানায়। তার জন্য চিনি, নুন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদানও ব্যবহৃত হয়। তেমন হলে সেই প্যাকেট এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়।
৪। পুষ্টিবিদ বলছেন, প্যাকেটজাত খাবার মাত্রই তাতে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হয়। মাখানায় থাকা পটাশিয়াম সে ক্ষেত্রে শরীরের কোনও উপকারে লাগবে না।
৫। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর মাখানাও দিনে এক থেকে দেড় কাপের বেশি খেতে বারণ করছেন শ্রেয়া। কারণ, অতিরিক্ত মাখনা খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকের পেটফাঁপা বা হজমের সমস্যা হতে পারে। কিডনি স্টোনের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।