Akshay Kumar

মাসে এক বার শৈশবের স্কুলে পা রাখেন অক্ষয় কুমার, এই অভ্যাসে কী উপকার পান তিনি?

শৈশবের স্মৃতি জীবনযুদ্ধের বহু লড়াইকে সহনীয় করে দিতে পারে। অক্ষয় কুমার এখনও নিয়ম করে তাঁর স্কুলে এবং শৈশবের বাড়িতে ঘুরতে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫৬
Share:

অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

দেশের সবচেয়ে বেশি করদাতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। অভিনেতা হিসেবে বছরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি তাঁরই ঝুলিতে। খ্যাতি এবং প্রতিপত্তির পরেও অক্ষয় কুমার মাটিতে পা রেখে চলতে পছন্দ করেন। অক্ষয় জানিয়েছেন, এখনও নিয়ম করে শৈশবের স্কুল এবং বাড়িতে পা রাখেন তিনি। শৈশবের স্মৃতির সঙ্গে যোগসূত্র মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে বলে মনে করেন মনোবিদদের একাংশ।

Advertisement

সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অক্ষয়। তিনি বলেন, ‘‘সিয়নের যেখানে আমি থাকতাম, প্রত্যেক মাসে আমি এক বার সেই বাড়িতে যাই। তার পর স্কুলে যাই। এই দুটো জায়গার সঙ্গে আত্মিক যোগের ফলে তৈরি অনুভূতি আমার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ অক্ষয় অবশ্য জানিয়েছেন, এই অভ্যাসের নেপথ্য কারণ তাঁর জানা নেই। মনোবিদেরা কিন্তু বিষয়টিকে ইতিবাচক দিক থেকেই দেখতে চাইছেন।

শৈশব কেটেছে, এ রকম কোনও স্থানের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হলে, তা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হতে পারে বলেই মনে করেন মনোবিদ শর্মিলা সরকার। তিনি বললেন, ‘‘সাফল্যের সঙ্গে মানুষ অনেক সময়েই তার শিকড় ভুলে যায়। অক্ষয় আজকে যে অবস্থানে রয়েছেন, সেখানে তিনি চাইলে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করতেই পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি।’’

Advertisement

সাধারণত স্কুলের কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রাক্তনীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করেন। অক্ষয়ের মতো ব্যস্ত অভিনেতা সেখানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শর্মিলার কথায়, ‘‘এক দিকে স্কুলের প্রতি অক্ষয়ের ভালবাসা এবং ছোটবেলার অনুভূতিকে মনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা তাঁর মনকে নিশ্চয়ই শান্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই তিনি এই অভ্যাসটা বজায় রেখেছেন।’’

পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে গল্প বা স্কুল বা বাড়ির পুরনো স্মৃতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তালনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্তির কগনিটিভ স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী বলে জানালেন শর্মিলা। একই সঙ্গে, পরবর্তী জীবনে কোনও মানসিক আঘাত বা কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে শৈশবের স্মৃতি কারও কারও ক্ষেত্রে মনোবল বৃদ্ধি করতে পারে। তাই অক্ষয়ের মতো অভ্যাস কারও থাকলে, তা আদতে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement