কোন খনিজের অভাব হলে মহিলাদের হাড় দুর্বল হয়, ক্লান্তি ভাব বেড়ে যায়? ছবি: ফ্রিপিক।
বয়স ত্রিশ পার হলে মহিলাদের শরীরে বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদানের ঘাটতি হতে থাকে, হাড় দুর্বল হয়ে যেতে থাকে, শরীরে ক্লান্তি ভাব বাড়ে। রজোনিবৃত্তির সময় যত এগিয়ে আসে ততই হরমোনের ওঠানামায় শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। তাই এই সময়ে এমন খাবার খেতে হবে যাতে ভরপুর মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম আছে।
ভিটামিন হোক বা খনিজ— শারীরিক ক্ষেত্রে প্রতিটি উপাদানেরই নিজস্ব ভূমিকা থাকে। ভিটামিন সি যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি ভাল করতে সহায়ক, তেমনই বিভিন্ন খনিজেরও নিজস্ব ভূমিকা থাকে। সেই তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম হল ম্যাগনেশিয়াম।
পাবমেড থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে তার সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। অর্থাৎ ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম মেলালে তবেই তা শরীরে ভাল কাজ করবে। কেবল রোগ প্রতিরোধ বাড়ানো নয়, স্থূলত্ব কমাতেও বড় ভূমিকা নেবে ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেশিয়ামের মিশেল জীবাণু সংক্রমণ থেকেও বাঁচাবে। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ থেকে বাঁচতেও ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারই খেতে হবে।
কোন কোন খাবার থেকে ম্যাগনেশিয়াম পাবেন?
কলা, ডুমুর, পালংশাক, মটরশুঁটি, ঢেঁড়শে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। ফলে কেউ যদি নিয়মিত শাকসব্জি খান, তা হলে তাঁর ম্যাগনেশিয়ামে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের সারা দিনে ৩১০ থেকে ৪২০ মিলিগ্রামের মতো ম্যাগনেশিয়াম দরকার। তাই খেতে হবে নানা ধরনের বাদাম, বীজ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা রাখলে শুধু ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি দূর হবে না, উপকার মিলবে আরও। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য খেতে পারেন পালং শাক, কাঠবাদাম, ডার্ক চকোলেট। জোয়ারের তৈরি রুটিতে ভরপুর ম্যাগনেশিয়াম থাকে। অঙ্কুরিত ছোলা খেলেও ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা মিটবে।