—প্রতীকী ছবি।
এক জন মানুষের চেহারার গঠন দেখে অনেক কিছুই তাঁর সম্পর্কে বলে দেওয়া যায়। সে কেমন প্রকৃতির মানুষ সেটা বলে দেওয়া সম্ভব। সরল না জটিল, বন্ধুত্বপূর্ণ না কুচুটে, এই সকল নানা জিনিস বলে দেওয়া যায়। এক জনের শারীরিক গঠন দেখে তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নানা দিক সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। সাহায্য করে জ্যোতিষশাস্ত্র।
দেখে নেব কোন চেহারার মানুষ কেমন হন:
১) আকৃতিতে ছোট মাথার ব্যক্তিরা অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি মাথা ঘামান না। এঁরা বর্তমানে বাঁচার ব্যাপারে বিশ্বাসী।
২) শক্ত-সমর্থ অথচ খাটো বা বেঁটে আকৃতির জাতক-জাতিকারা প্রকৃতপক্ষে যোদ্ধা। এঁরা সব সময় খেয়াল রাখেন যে এঁদের অধিকার কেউ খর্ব করল কি না। আঁতে ঘা লাগলে আর রক্ষে নেই। তখন এঁরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। প্রয়োজনে হাত চালাতেও পিছপা হন না।
৩) গোল মুখশ্রীর জাতক-জাতিকারা ঝগড়া-ঝামেলা পছন্দ করেন না। এঁরা সকলের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে পছন্দ করেন। এঁদের বোকা বানানো খুবই সহজ।
৪) হালকা গড়ন সেই সঙ্গে খাটো বা বেঁটে আকৃতির ব্যক্তিদের পলায়ন প্রবৃত্তি থাকে। সমস্যা থাকলেই সরে যান। বন্ধুত্বতেও জটিলতা সৃষ্টি হলে পিছিয়ে আসেন।
৫) যাঁদের শরীরের হালকা গড়ন হয়, তাঁদের অনুভূতির দিক খুব প্রবল হয়। বুদ্ধি বা কথার দ্বারা কাজ উদ্ধার করতে এঁরা পটু। এঁরা সর্বদা নিজেদের অন্যের চেয়ে বেশি যোগ্য প্রমাণ করতে চান।
৬) চৌকো মুখশ্রীর জাতক-জাতিকাদের মধ্যে অসম্ভব বাস্তববুদ্ধি এবং দৃঢ়চেতা ভাব থাকে।
৭) লম্বাটে মুখশ্রীর ব্যক্তিরা খুব একটা আমুদে হন না। সব ব্যাপারে খুঁতখুঁতে হন। সর্বদা খারাপ চিন্তাটাই আগে করেন।
৮) লম্বা ধরনের মাথার জাতক-জাতিকারা অতিরিক্ত বুদ্ধিমান হন। এঁদের বোকা বানানো যায় না। দেখে যতটা বুদ্ধিমান মনে হয়, তার চেয়েও অধিক বুদ্ধিমান হন।
৯) গোলগাল চেহারার ব্যক্তিদের মেজাজটা খুব শান্ত প্রকৃতির হয়। নিজের সম্পর্কে বেশি খুঁতখুঁতে হন না এঁরা। অল্প সময়েই মানুষের সঙ্গে ভাব জমিয়ে নেন। রসিকতা করে হেসেখেলে জীবন কাটাতে পছন্দ করেন।