বাংলা বছরের চতুর্থ মাস শ্রাবণ
শিবের জন্মমাস হিসাবে খ্যাত। এই মাসে তাই বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষই শিবের
উপাসনা করেন। সোমবার করে উপবাস রেখে শ্রাবণের ব্রত পালন করেন। শিবের করুণা লাভের উদ্দেশে
অনেকে গরীব-দুঃখীদের দানধ্যান করে থাকেন। এতে মহাদেব তুষ্ট হন, দু’হাত মেলে আশীর্বাদ
করেন। কিন্তু এই মাসে কিছু জিনিস দান করতে নেই। এতে ভোলেবাবা তুষ্ট হওয়ার বদলে
রুষ্ট হন। আর্থিক ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব পড়ে। জেনে নিন সেই জিনিসগুলি কী কী।
শ্রাবণ মাসে কোন কোন জিনিস দান
করতে নেই?
- শ্রাবণে অসহায় মানুষদের দান করলে
মহাদেব খুব খুশি হন ঠিকই, তবে কিছু জিনিস দাম করলে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে বলে মনে
করা হয়। আর্থিক দিকে ক্ষতি হয়।
- শ্রাবণে বাড়ির থেকে ঝাঁটা বার
করতে নেই। অর্থাৎ, পুরনো ঝাঁটা যতই খারাপ হয়ে যাক না কেন, সেটিকে বার করা যাবে না
বা কাউকে দিয়ে দেওয়াও যাবে না। মাস গেলে তার পর ঝাঁটা বদলাতে হবে। শ্রাবণ শেষ
হওয়ার আগে ঝাঁটা বাতিল করা যাবে না।
- এই মাসে রান্নাঘরের দু’টি জিনিসও
কাউকে দিয়ে না বলছেন জ্যোতিষীরা। বাড়ি থেকে কাউকে নুন ও তেল দান করা যাবে না। এমনি
দোকান থেকে কিনেও এই দু’টি জিনিস শ্রাবণে কাউকে না দেওয়াই ভাল। দানের ক্ষেত্রে তেল
ও নুন বাদে বাকি জিনিস দেওয়া যেতে পারে।
- শ্রাবণে কাউকে চামড়ার কোনও জিনিস
বা প্লাস্টিকের তৈরি কোনও জিনিস দেওয়া উচিত নয়। বাড়িতেও এই দু’টি জিনিসের তৈরি
কোনও বস্তু যদি হাতিল করবেন ভাবেন, তা হলে এই মাসটিকে এড়িয়ে চলাই ভাল। শ্রাবণ
গেলে তার পর সেগুলিকে বাড়ির বাইরে বার করতে পারেন।
শ্রাবণে আর কোন কোন কাজ করতে নেই?
- অবোলা পশুদের এই মাসে
তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা বা আঘাত পৌঁছনো উচিত নয়। এতে মহাদেব রুষ্ট হন, জীবনে দুর্দিন
নেমে আসে। বদলে তাদের সাধ্যমতো খাওয়ার খাওয়াতে পারলে খুব ভাল হয়।
- শ্রাবণে কোনও মহিলার সঙ্গে অভব্য
আচরন করা যাবে না। বাড়ি এবং বাইরে, সর্বক্ষেত্রে মহিলাদের সম্মান করে চলাই শ্রেয়।
- উপবাস রেখে মাঝপথে উপবাস ভাঙা যাবে
না। উপবাস যদি রাখেন, তা হলে নিষ্ঠাভরে শিবের পুজো করার পরই সেই উপবাস ভাঙতে হবে।
- শ্রাবণের সোমবার করে নখ-দাড়ি-চুল
কাটা যাবে না। এর প্রভাবেও জীবনে দুঃখের দিন আসতে পারে।