Kaal Sarp Dosh Remedies

জন্মপত্রিকায় কালসর্পদোষ রয়েছে? কুপ্রভাব থেকে রেহাই পেতে মেনে চলুন পাঁচ কার্যকরী টোটকা

জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহু এবং কেতুকে ছায়াগ্রহ বলা হয়। রাহু এবং কেতুর মধ্যে সাতটি প্রধান গ্রহ— চন্দ্র, সূর্য, বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি, মঙ্গল অথবা শনির কোনও একটি অবস্থান করলে কালসর্পদোষ বা কালসর্পযোগ তৈরি হয়।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ০৭:৪৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

জ্যোতিষশাস্ত্রে যেমন জন্মছকে থাকা নানা শুভ যোগের কথা রয়েছে, তেমনই রয়েছে নানা অশুভ যোগের কথা। কারও জন্মছকে শুভ যোগ থাকলে তাঁর জীবনে যেমন বিভিন্ন ভাল প্রভাব পড়ে, তেমনই অশুভ প্রভাব থাকার ফলে জীবনে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে থাকা অশুভ যোগগুলির মধ্যে কালসর্প অন্যতম। সংস্কৃতে ‘কাল’ বলতে বোঝায় সময়কাল। ‘সর্প’ মানে সাপ। জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহু এবং কেতুকে ছায়াগ্রহ বলা হয়। রাহু এবং কেতুর মধ্যে সাতটি প্রধান গ্রহ— চন্দ্র, সূর্য, বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি, মঙ্গল অথবা শনির মধ্যে কোনও একটা অবস্থান করলে কালসর্পদোষ বা কালসর্পযোগ তৈরি হয়।

Advertisement

জন্মপত্রিকায় কালসর্পযোগ থাকলে সেই মানুষের জীবন নানা দিক থেকে বিভীষিকাময় হয়ে উঠতে পারে। জীবনে অপ্রত্যাশিত উত্থান-পতনের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় এই দোষের ফলে জন্মপত্রিকায় থাকা অন্যান্য ভাল দোষের ফলদানের ক্ষমতা লোপ পায়। উক্ত ব্যক্তি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন। যে কোনও কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ঘন ঘন খারাপ স্বপ্নও আসে। এই দোষের নানা প্রকারভেদ রয়েছে। কালসর্পদোষ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও কয়েকটি টোটকা মেনে চললে এর প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

কালসর্পদোষের কুপ্রভাব কমানোর টোটকা:

Advertisement

১. শিবের উপাসনা করুন। তারই সঙ্গে নিয়মিত শিবের মন্ত্র জপ করুন। এতে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে।

২. নাগ গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করুন। হনুমান চালিশা পাঠ করলেও ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।

৩. প্রতি সপ্তাহের শনিবার হনুমানজির সামনে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।

৪. বহু মন্দিরে রাহু-কেতুর পুজো করা হয়। বাড়িতেও পুরোহিত ডেকে এই পুজো করানো যেতে পারে। কালসর্পদোষের কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাহু-কেতুর পুজো করা প্রয়োজনীয়।

৫. মঙ্গলবার ও শনিবার করে নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন।

এ ছাড়া, অভিজ্ঞ জ্যোতিষের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহরত্ন ধারণেও কুপ্রভাব থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু নিজে থেকে ইচ্ছামতো গ্রহরত্ন পরে নেওয়া যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement