—প্রতীকী ছবি।
বাস্তবে রাহু হল একটি ছায়াগ্রহ। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে এর গুরুত্ব প্রচুর। রাহুর অশুভ ছায়া যদি কারও উপর পড়ে, তা হলে সেই মানুষের জীবন তছনছ হয়ে যায়। কোনও কাজই ঠিকঠাক হয় না। জীবনে চলার পথে বার বার বাধার সম্মুখীন হতে হয়। অর্থের সমস্যা পিছু ছাড়তে চায় না। কিন্তু রাহুকে তুষ্ট করতে পারলেই এই সকল সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জন্মছকে যদি রাহু খারাপ অবস্থায় না-ও থাকে, সে ক্ষেত্রেও রাহুকে আরাধনা করলে আপনারই লাভ হবে। রাহু যদি এক বার আপনার উপর আশীর্বাদ বর্তায়, তা হলে জীবনে সুখের অন্ত থাকবে না।
রাহুকে তুষ্ট রাখতে কী কী করতে হবে?
১. মোহমায়া ত্যাগ করতে হবে: মানুষের লোভ, মোহ, আকাঙ্ক্ষা, পার্থিব আনন্দ প্রভৃতির সঙ্গে রাহুর সম্পর্ক রয়েছে। কোনও জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত লোভ রাখা যাবে না। উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর ভর করে অসৎ পথে কোনও জিনিস অর্জন করলেও পড়তে হবে মুশকিলে। রাহু যদি আপনার উপর আশীর্বাদ বর্তায় তা হলে আপনি অনায়াসেই যা চাইবেন তা পেয়ে যাবেন। কিন্তু ধৈর্য ধরে না রাখতে পারলেই মুশকিল।
২. ধ্যান করুন: রাহুর উপাসনা করতে চাইলে ধ্যান করা আবশ্যক। এতে তিনি তুষ্ট হন। ভাল ফল লাভ হয়। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে, শুদ্ধ বস্ত্র ধারণ করে শান্ত মনে বসে ধ্যান করতে হবে। সেই সময় বাহ্যিক কোনও বিষয়ে মন দেওয়া যাবে না। রাহুর শুভ প্রভাব লাভ হবে।
৩. রাহুর মন্ত্র পাঠ করুন: আমাদের ধর্মে বাড়িতে নিজের মতো করে রাহুপুজোর চল সাধারণত নেই। রাহু যদি জন্মছকে খারাপ অবস্থানে থাকে আর তার কুপ্রভাবে জীবন যদি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তা হলে পুরোহিত দিয়ে পুজো করানো যেতে পারে। এ ছাড়া প্রতি দিন স্নানের পর ঠাকুরের সামনে বসে রাহুর মন্ত্র পাঠ করলেও উপকার পাওয়া যাবে। ‘ওঁ ভ্রাং ভ্রীং ভ্রৌং সঃ রাহবে নমঃ’— রাহুর এই বীজমন্ত্রটি নিয়মিত ১০৮ বার জপ করতে হবে।
৪. দান করুন: অসহায় মানুষদের দান করলে রাহুর কৃপা লাভ করা যায়। সাধ্যমতো দান করুন। একই সঙ্গে পশুপাখিদেরও খাবার দিতে হবে। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।