—প্রতীকী ছবি।
মানুষ মানেই ভাল-খারাপের সংমিশ্রণ। কোনও মানুষই কেবল ভাল বা কেবল খারাপ নয়। সকলের মধ্যেই যেমন নানা ভাল দিক রয়েছে, তেমনই কিছু না কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রাশিগত প্রকৃতির উপরও মানুষের ভাল বা খারাপ গুণ নির্ভর করে। অর্থাৎ, আমাদের মধ্যে এমন অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলির মূলে রয়েছে আমাদের রাশি। সেই রকমই বারোটি রাশির প্রত্যেকের মধ্যে কী কী খারাপ গুণ সাধারণত দেখা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা হল।
কোন রাশির মধ্যে কী খারাপ গুণ থাকে?
মেষ: এই রাশির ব্যক্তিরা খুব ভাল নেতৃত্ব দান করতে পারেন। কিন্তু এঁরা একটু আত্মকেন্দ্রিক হন। তাঁদের এই স্বভাবের ফলে অনেকেই তাঁদের প্রতি ক্ষুণ্ণ হন। মেষ রাশির ব্যক্তিদের রাগের উপরেও বিশেষ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এই কারণেও তাঁদের বদনাম হয়।
বৃষ: ধৈর্যের দিক দিয়ে বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের হারানো মুশকিল আছে। কিন্তু তাঁরা এতটাই একগুঁয়ে প্রকৃতির হয় যে মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে পেরে ওঠা মুশকিল হয়ে যায়। তাঁদের এই একগুঁয়েমির কারণে বহু মানুষই তাঁদের ভুল বোঝেন, তবে বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা সেটা বুঝতে পারেন না। অথবা বলা ভাল, বুঝতে চান না।
মিথুন: মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা খুব ভাল মন রাখার মতো কথা বলতে পারেন, অর্থাৎ বাগ্মী হন। কিন্তু তাঁদের এই স্বভাবই মাঝেমাঝে দ্বিচারিতায় পরিণত হয়। এই কারণে লোকে তাঁদের বিশ্বাস করতে ভয় পান। যে কোনও পরিস্থিতিতে দল বদল করতে তাঁদের বেশি সময় লাগে না।
কর্কট: আবেগ ভাল, কিন্তু তাতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারা জরুরি। কর্কট রাশির ব্যক্তিরা তাঁদের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। তাঁরা অত্যন্ত বদমেজাজি প্রকৃতিরও হন। কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা অন্যদেরকেও তাঁদের এই আবেগগত উত্থান-পতনের মধ্যে টেনে আনতে পছন্দ করেন এবং সেই সকল মানুষের সহানুভূতি লাভ করাই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য হয়।
সিংহ: সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা সকল পরিস্থিতির কেন্দ্রবিন্দু হতে পছন্দ করেন। সেটা না পেলে তাঁরা রেগে যান। এই রাশির মানুষেরা আত্মকেন্দ্রিক ও অহঙ্কারী প্রকৃতিরও হয়ে থাকেন। এর ফলে তাঁরা অনেকেরই অপছন্দের পাত্র হয়ে ওঠেন।
কন্যা: নিজের এবং অন্যের সমালোচনা করতে কন্যা রাশির ব্যক্তিরা খুব পছন্দ করেন। অন্যদের করা যে কোনও কাজ থেকে খুঁত বার করার ব্যাপারে এঁরা অত্যন্ত পটু। তাঁদের এই স্বভাব তাঁদেরকে অন্যদের কাছে চক্ষুশূল করে তোলে। অনেকেই এই রাশির ব্যক্তিদের তাই নির্মম ও হৃদয়হীন মনে করেন।
তুলা: তুলা রাশির ব্যক্তিরা এমনিতে খুব শান্ত প্রকৃতির হন। কিন্তু অন্যকে খুশি করতে গিয়ে এঁরা নিজের চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দেন। তাঁদের এই স্বভাবের ফলে তাঁরা নিজেরাই বিপদে পড়েন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারেও তাঁরা ঘাবড়ে যান।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা রহস্যময় প্রকৃতির হন। কিন্তু তাঁরা যে কোনও রাগকে মনের মধ্যে বহু দিন ধরে পুষে রেখে দেন এবং প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। তাঁদের এই প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব তাঁদেরকে ক্ষতিকারক করে তোলে।
ধনু: সাহসিকতার দিক থেকে ধনু রাশির ব্যক্তিরা অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকেন। এই রাশির ব্যক্তিরা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা প্রকৃতিরও হন। কিন্তু কাউকে কোনও কথা বলার সময় তাঁরা এক বারের বেশি দু’বার ভাবেন না, এতে অন্যদের অনেক সময় খারাপ লেগে যায়। কিন্তু ধনু রাশি সেটাও বুঝতে পারেন না।
মকর: শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন কাটাতে মকর রাশির জাতক-জাতিকারা পছন্দ করেন। কিন্তু তাঁদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাঁদেরকে নিষ্ঠুর ও স্বার্থপর করে তোলে। এই রাশির ব্যক্তিরা তাঁদের লক্ষ্য পূরণের জন্য যে কোনও মাত্রা পর্যন্ত যেতে পারেন এবং অন্যদের অনুভূতির পরোয়া করেন না।
কুম্ভ: বিদ্রোহী স্বভাবের জন্য কুম্ভ রাশির ব্যক্তিদের সমাজে নাম খারাপ হয়। সমাজের কোনও নিয়মেরই পরোয়া এই রাশির ব্যক্তিরা করেন না এবং যে কোনও ব্যাপারে বিরোধিতা করার জন্য এঁরা সবার আগে এগিয়ে যান। তাই এঁদের শত্রুর সংখ্যাও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।
মীন: মীন রাশির জাতক-জাতিকারা বাস্তবের সম্মুখীন হতে পছন্দ করেন না। তাঁরা নিজেদের কল্পনার জগতে বিচরণ করতেই বেশি পছন্দ করেন। এর ফলে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান করতেও তাঁরা বিশেষ পটু হন না।