ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
প্রত্যেকে সমান বয়সে সফলতা ছুঁতে পারেন না। কেউ ১৮ পেরিয়েই বিশাল কিছু করে ফেলেন। কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনোর পরও বুঝে উঠতে পারেন না পেশা হিসাবে কী বেছে নেবেন। কিংবা চাকরি পেলেও সেখান থেকে মনের মতো বেতন পান না। ফলত মন ভেঙে যায়। আরও খারাপ লাগে তখন, যখন দেখা যায় আশপাশে সমবয়সিরা অনেক কিছু অর্জন করে ফেলছেন। সেখানে নিজের মাসখরচটাই ঠিকঠাক চালানো যাচ্ছে না। কিন্তু শাস্ত্র জানাচ্ছে এ বিষয়ে দুঃখ পাওয়ার কিছুই নেই। বেশ কিছু তারিখ রয়েছে, সেগুলিতে জন্মানো জাতক-জাতিকারা অন্যদের তুলনায় দেরিতে সফলতা পান। কম বয়সে প্রচুর পরিশ্রম করলেও বেশি বয়সে এসেই এঁরা সফল হন। জেনে নিন তালিকায় কারা রয়েছেন।
কোন কোন জন্মতারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা দেরিতে সফলতা পান?
১: এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা বয়স বাড়লে অর্থের মুখ দেখতে পান। তার আগে এঁদের জীবন একটু কষ্টেই কাটে। তবে শুক্রের কৃপায় এঁরা পরে বিয়ে করে বিলাসবহুল জীবন কাটানোর সুযোগ পান।
৬: শনিদেব এঁদের সঙ্গে থাকেন। কঠোর পরিশ্রম করলে সেটির ফল এঁরা দেরিতে হলেও পান। এঁদের ভাগ্যের উদয় অন্যদের তুলনায় দেরিতে হয়। তাই সফলতা পেতেও একটু বেশি সময় লেগে যায়।
৮: অফিস হোক বা ব্যবসা, যে কোনও ক্ষেত্রেই এঁরা খুব ভাল কাজ করেন। প্রথমেই সফলতা না পেলেও, কিছু দিন পর থেকে সকলে এঁদের কদর বোঝা শুরু করেন। একটু বয়স বাড়ার পর থেকে এঁদের জীবনে আর অর্থের অভাব থাকে না।
১০: এই তারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকাদের বুদ্ধি খুবই তীক্ষ্ণ হয়। এঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও হয় দারুণ। তবে ভাগ্য একটু দেরিতে সঙ্গ দেয়। তাই সফলতা অর্জনেও বিলম্ব হয়।
১১: এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিদের খরচের হাত একটু বেশি হয়। তাই কম বয়সে এঁদের একটু অর্থাভাবের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এঁদের বুদ্ধিও বৃদ্ধি পায়। তখন এঁরা সঞ্চয়ে মনোনিবেশ করেন। সফলতাও অর্জন করেন।
১৫: যে কোনও কাজ এঁরা ভেবেচিন্তে করেন। এই তারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকারা দূরদর্শী হন। অতীতে কী হবে সেটা ভেবেই এঁরা নিজেদের বর্তমানের কাজগুলি করেন। দেরিতে পেলেও, সফলতার সিঁড়ি বেয়ে এক বার ওঠা শুরু করলে এঁদের আর পিছন ফিরতে হয় না।
১৭: এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা ছোট থেকেই জানেন যে তাঁরা কী চান। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগোন। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছোতে এঁদের একটু বেশিই সময় লেগে যায়। যদিও বেশি বয়সে হলেও, লক্ষ্যে এঁরা ঠিকই পৌঁছোন।
২২: সফলতার পথে এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিদের নানা বাধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এঁরা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে বেরোন না। কঠোর পরিশ্রমের ফল এঁরা একটু বেশি বয়সে গিয়ে পান। একটা বয়সের পর থেকে এঁদের জীবনে সুখের কোনও অভাব থাকে না।