—প্রতীকী ছবি।
২২ অগস্ট ২০২৫, শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। হিন্দু ধর্মের সকল মানুষের কাছে এই দিনটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তেরা এই দিন তারাপীঠে মা তারার পুজো দিতে আসেন। বিশ্বাস করা হয়, এই দিন নিষ্ঠাভরে দেবীর পুজো করলে মনোবাসনা পূরণ হয়। এই দিনটি তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। তন্ত্রসাধনার জন্য এই অমাবস্যা বিশেষ ভাবে ফলদায়ী। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনে করা বিশেষ কিছু টোটকা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।
টোটকা:
১) কৌশিকী অমাবস্যার দিন একটা জবা ফুল নিয়ে তাতে লাল সিঁদুর লাগান। সিঁদুর লাগানোর সময় মনের ইচ্ছা বলুন। তার পর সারা রাত জবা ফুলটা তারা মায়ের পায়ের কাছে রেখে দিন। পরের দিন সকালে জবা ফুলটা একটা লাল কাপড়ের মধ্যে লাল সুতো দিয়ে বেঁধে যত্ন করে রেখে দিন। পরের কৌশিকী অমাবস্যা আসা পর্যন্ত যে কোনও জরুরি কাজে যাওয়ার সময় কাপড়ে বাঁধা জবা ফুলটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। কার্যসিদ্ধি হবে নিশ্চিত।
২) বাড়ির কাছাকাছি কোনও কুয়ো থাকলে খুবই ভাল, না থাকলে বাড়ির উঠোনে বা বাগানে একটা ছোট গর্ত করে সেটির ভিতর কাঁচা দুধ দিন। এর ফলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে।
৩) এই দিন সূর্যাস্তের পর ১৬টা গোলমরিচ নিন। একটা তামার পাত্রে ১১টা গোলমরিচ রাখুন এবং বাকি ৫টা গোলমরিচ একটা প্রদীপের মধ্যে দিয়ে প্রদীপটা জ্বেলে নিন। এটি করার সময় মনের ইচ্ছা বলতে হবে।
৪) এই দিন পাঁচটা ফল এবং ১০৮টা জবা ফুলের মালা দিয়ে তারা মায়ের পুজো দিন।
৫) কৌশিকী অমাবস্যার দিন কয়েক জন গরিব মানুষকে কালো তিল, আটা, বস্ত্র এবং টাকা দান করতে পারলে বিশেষ ফলপ্রাপ্তি ঘটবে।
৬) এই দিন যে কোনও পুরোহিতকে একটা লাল বস্ত্র দান করুন এবং তাঁকে ভোজন করান।
৭) কৌশিকী অমাবস্যার দিন অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় জল অর্পণ করুন এবং সন্ধ্যাবেলা সেখানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
সাড়েসাতির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার টোটকা:
১) যাঁদের সাড়েসাতি চলছে তাঁরা এই দিন ধুতরা, কাঁচা দুধ, কালো তিল ও বেলপাতা সহকারে মহাদেবের পুজো করুন এবং শিবের মন্দিরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন।
২) এই দিন সন্ধ্যাবেলা একটা কালো রঙের মাটির প্রদীপে কালো তিল এবং তিলের তেল দিয়ে শনি মন্দিরে জ্বালুন।
৩) অমাবস্যার তিথি চলাকালীন শনি চালিশা পাঠ করুন।